ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না অভিনেত্রী

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না অভিনেত্রী

বিনোদন স্পেশাল

জুন ৩০, ২০২৪ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘মহারাজ’ ছবিটি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে চারিদিকে। জয়দীপ আহলাওয়াত ছাড়াও এ ছবিতে দেখা গেছে শর্বরী ওয়াঘ, শালিনী পাণ্ডেকেও। আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খান এ ছবির মাধ্যমে বলিউড জগতে পা রেখেছেন।

যেখানে তিনি কারসানদাস মুলজির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এ ছবিতে তার বাগদত্তার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে শালিনী পাণ্ডেকে। ছবিতে শালিনীকে দেখে মানুষ তাকে আলিয়া ভাটের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

মানুষ এমনকী এও বলেছেন, মনে হচ্ছে আলিয়া শালিনীর জন্য ডাবিং করেছে। শালিনী তার চলচ্চিত্র নিয়েও কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন যখন তিনি প্রথমবার তার চরিত্র সম্পর্কে পড়েছিলেন, তখন তিনি তার চরিত্রটিকে কতটা বোকা ভেবেছিলেন।

এ ছবিতে মানুষের অন্ধ ভক্তি দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কী ভাবে মানুষ মানুষকে ঈশ্বরের কাছে স্থান দেয় এবং তারপরে সঠিক এবং অন্যায়ের পার্থক্য ভুলে যায়। এ ছবিতে, জয়দীপ আহলাওয়াতকে স্ব-শৈলীর ধর্মীয় নেতা মহারাজের ভূমিকায় দেখা যায়।

যিনি ১৮০০-এর দশকের একজন গডম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেন। যিনি মানুষকে বিশ্বাস করিয়েছিলেন যে তিনি ঈশ্বরের মূর্ত প্রতীক। ১৮৬২ সালের মহারাজ মানহানির মামলার ওপর ভিত্তি করে, জয়দীপ আহলাওয়াত যদুনাথজি ব্রিজারতনজি মহারাজের (জেজে) ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যিনি বল্লভাচার্য সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান। যিনি শ্রদ্ধা ও ভক্তির নামে ওই বাড়ির নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।

‘মহারাজ’ ছবিতে যৌনদৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে চরম অস্বস্তি অনুভব করছেন শালিনী। হঠাৎ সেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শালিনী পান্ডে এসব কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারে শালিনী পান্ডে বলেন, ‘যখন আমি মহারাজের সঙ্গে ওই দৃশ্যে অভিনয় করা শুরু করি তখন সেটি আমার উপর অদ্ভুত প্রভাব ফেলেছিল। আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। পরে দৌড়ে নিজের টিম মেম্বারদের কাছে গিয়ে বলি আমি কিছুক্ষণ ফ্রেশ এয়ার নিতে চাই।’

এই অভিনেত্রী জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করার সময় তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। এমনকি যখন তিনি প্রথম স্ক্রিপ্টটি পড়েছিলেন, তখন তার মনে হয়েছিল চরিত্রটি একটি বোকা মেয়ের। কিন্তু পরে তিনি অনুভব করেন যে, তার চরিত্রটি আদতে বোকা নয়। আসলে কাউকে বিশ্বাস করে নেওয়াটাই সেই মেয়েটির স্বভাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *