গিনেস বুক রেকর্ডে কুবি শিক্ষার্থী

দেশজুড়ে

জুলাই ১১, ২০২৩ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

কুবি প্রতিনিধি:

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের দুটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ইরফান আনোয়ার তুষার। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ইরফানকে পাঠানো মেইলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন কোর্টে ৩০ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৬৫ বার ড্রাম স্টিক ঘুরিয়ে ও এক মিনিটে ১২৫ বার ঘুরিয়ে দুটি রেকর্ড করেন তিনি। রেকর্ডটি করার জন্য গত ২২ জানুয়ারি তিনি আবেদন করেন এবং ২১ মার্চ তিনি এ রেকর্ড করলে গত ৭ জুলাই ই-মেইলে তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ।

ইরফানের করা প্রথম বিশ্বরেকর্ডটি আমেরিকার ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা কেন্ট চ্যাইপার্ট (Kent Cypert) এবং দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ব্রান্ডেন ক্যালবাইয়ের (Brendan Kelbie) কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে ইরফান বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই গিনেস বুক রেকর্ড সম্পর্কে জানতাম। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিনেস বুক রেকর্ড হোল্ডার থাকলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলো না। সেখান থেকে আমার আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে দীর্ঘ ছয় মাস রেকর্ড গড়ার করণীয় ও খুঁটিনাটি জানতে সময় লেগে যায়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি গিনেস বুক রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জমা দিই।’

তিনি আরো বলেন, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজেকে আসীন করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত ও উচ্ছ্বাসিত কারণ আমি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লাল সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।

এ রেকর্ড গড়ার পেছনে অনুপ্রেরণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এই অর্জন আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে আমার দুই বন্ধু মো আশিকুর রহমান এবং রবিউল আলম। ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল শিক্ষকই আমাকে সাহায্য করেছে বিশেষ করে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদ স্যার ও মোশাররফ স্যার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমাকে এই রেকর্ড করতে সহযোগিতা করেছেন।’

ভবিষ্যতে আরো রেকর্ডে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমি আরো তিনটি রেকর্ডের জন্য আবেদন করেছি এবং সাম্প্রতিক সময়ে একটি আবেদনে অংশ নিবো।’

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী উপদেষ্টা মো. জাহিদ হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এইরকম অর্জন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গর্বের। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভবত ইরফান আনোয়ারই প্রথম গিনেস বুক অফ রেকর্ডে নাম লেখানোর গৌরব অর্জন করেছেন। শিক্ষক হিসেবে আমি তার মধ্যে সাফল্য অর্জনের যে একাগ্রতা দেখেছি সেটা তাকে বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *