গাজা ছাড়ার পথেও মৃত্যু ফাঁদে ফিলিস্তিনিরা

গাজা ছাড়ার পথেও মৃত্যু ফাঁদে ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক স্লাইড

অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

ইসরাইলের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় গাজার অনেক বাসিন্দাই উত্তর থেকে সরে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখান থেকে বের হওয়ার পথও ইসরাইলি বাহিনীর হামলার কারণে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এ নিয়ে ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে গাজায় স্থল অভিযান শুরু হয়েছে বলে ইসরাইল জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা, মিডিলইস্ট অনলাইন, বিবিসি, রয়টার্স, এএফপির।

বিবিসি জানিয়েছে, গাজা ছেড়ে যাওয়ার পথে ইসরাইলের হামলার ভয়াবহতা ঘটনাস্থলের ভিডিওতে উঠে এসেছে। যে দুটি সড়ক দিয়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তার একটি সালাহ আল-দিন সড়কেই হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

ভিডিও ফুটেজে অন্তত ১২টি লাশ দেখা গেছে, যার অধিকাংশই ছিল শিশু ও নারী। শিশুদের কারও কারও বয়স দুই থেকে পাঁচ বছর। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার কাছাকাছি ধারণ করা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ৭০ জন মারা গেছেন। হামাস জানিয়েছে, অন্তত তিনটি স্থানে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে।

দখলদার ইসরাইলি বিমানবাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় গাজায় মোট ২ হাজার ২১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ৮ দিন ধরে চলা ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহতের মধ্যে শিশুই ৭২৪ জন।

নির্বিচার এসব হামলায় ৮ হাজার ৭১৪ জন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, শুধু ২৪ ঘণ্টায় বিমান হামলায় ৩২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া একদিনেই আহত হয়েছেন ১ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

গাজার সীমান্তজুড়ে ট্যাংক এবং প্রায় তিন লাখ সেনা মোতায়েন করে বড় ধরনের স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথান কনরিয়াস শনিবার এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকার চারদিকে ইসরাইলের রিজার্ভ সেনারা তৈরি রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে তারা পরবর্তী অভিযান শুরু করবে।

আর ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের সহায়তা নিয়ে গাজার ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি রকেট হামলাকারীদের ‘নির্মূল’ করার পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের অবস্থান তারা জানার চেষ্টা করছে।

জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরের দুই শরণার্থীশিবিরেও (কালান্দিায়া ও জেরিকো) ছোট পরিসরের ইসরাইল স্থল অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে স্থল অভিযান চালিয়ে ৩৭ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

ইসরাইলের সপ্তাহব্যাপী বোমা হামলায় গাজা উপত্যকায় ১৩০০’র বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোয় ‘৫ হাজার ৫৪০টি বসতবাড়ি’ ছিল। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৫০টি বাসা এমনভাবে ধ্বংস হয়েছে যে সেগুলো আর বাসযোগ্য নেই।

শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর স্থল হামলা শুরুর আগেই গাজার উত্তরাংশের বহু অসহায় বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ অংশে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে ঠিক কতসংখ্যক বাসিন্দা সরে যেতে পেরেছেন, সেটা জানা যায়নি। গাড়ির সঙ্গে ঘরের জিনিসপত্র বেঁধে বা ট্রাকে করে যে যেভাবে পারছেন উত্তর গাজা থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবার থেকে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা করে ‘শেষবিদায়’ জানিয়েছেন গাজাবাসী। কারও প্রতি অন্যায় হয়ে থাকলে তারা এর মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন। ইহাব আর সুলাইমান নামের একজন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কারও দাবি থাকলে ক্ষমা করে দিন। আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি, তাই দয়া করে আমাকেও ক্ষমা করে দিন।’

অনেকেই ‘শেষবিদায়’ জানানোর পর আর কিছু পোস্ট করেননি। ইসরাইলি বাহিনী শুক্রবার রাতেও গাজার আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। তাদের এ হামলায় বেশকিছু বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সেখানকার বাসিন্দারা সামাজিক মাধ্যমে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে প্রাণভয়ে অনেকে পাশের কুদস হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। ভোর হলেই তারা সেখান থেকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

সেখান থেকে রয়টার্সকে টেলিফোনে তিন সন্তানের এক বাবা বলেন, ‘প্রাণের ভয় নিয়ে আমরা রাত কাটাচ্ছি। নিজের বাড়ি ছেড়ে যেতে চাই না বলে ইসরাইলের বাহিনী আমাদের শাস্তি দিচ্ছে। এর চেয়ে বড় নিষ্ঠুরতা আর কী হতে পারে। আমি নিজের বাড়ি ছেড়ে কখনোই যেতে চাই না। এখানেই মৃত্যু আমার কাছে শ্রেয়। কিন্তু আমি স্ত্রী-সন্তানদের চোখের সামনে মরতে দিতে পারি না। আমরা এখন অসহায়।’

ইসরাইলের বোমায় গুঁড়িয়ে যাওয়া একটি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ নামের ২০ বছরের এক ফিলিস্তিনি তরুণ বলছিলেন, ‘চলে যাওয়ার চেয়ে এখানে থেকে মরা ভালো। আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরতে চাই।’

ইসরাইলের আলটিমেটাম দেওয়ার পরও হামাস গাজার বাসিন্দাদের যার যার বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য তারা শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। গাজার মসজিদের মাইক থেকেও স্থানীয়দের যার যার বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তর গাজা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার চলমান থাকতেই গাজা সিটির আল কুদস হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে বলা হয়েছে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) মধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগী ও কর্মীদের সরিয়ে নিতে হবে।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুরুতে এই সময়সীমা ছিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)। পরে একবার জানানো হয় যে দুপুর ১২টায় হাসপাতাল খালি করতে হবে। সবশেষে বিকাল ৪টার মধ্যে হাসপাতাল খালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে রেড ক্রস জানিয়েছে, অসুস্থ ও আহতদের সেবা দিতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সে কারণে তারা হাসপাতাল খালি করতে পারবে না।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, উত্তর গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুটি রাস্তা ব্যবহার করে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

এক্সে একটি আরবি পোস্টে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই লিখেছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা) মধ্যে দুটি পথ ব্যবহার করে ‘কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া’ গাজার নাগরিকরা দক্ষিণে সরে যেতে পারবেন।

রকেট নিক্ষেপের ঘটনায় গর্বিত হামাস নেতা : হামাসের সদস্যরা শনিবার ইসরাইলে যে রকেট নিক্ষেপ করেছে তা ‘ইসরাইলের দখল নির্মূল করতে করা হয়েছে’ এবং হামাস ‘সদস্যদের এ কাজে গর্বিত’ বলে জানিয়েছেন হামাসের পররাষ্ট্রবিষয়ক সম্পর্কের প্রধান খালিদ মেশাল।

তুরস্কের হাবেরতুর্ক টিভিকে তিনি বলেন, এ সংঘাত ‘গত সপ্তাহে নয়, ১৯৪৮ সালে শুরু হয়েছে।’ খালিদ মেশাল বলেন, ইসরাইল সব সময় বলে এসেছে যে তাদের সেনাবাহিনী সবচেয়ে শক্তিশালী ও অজেয়। আমরা যখন দেখি তারাও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হেরে গেছে, তখন আমরাও অবাক হয়ে যাই। আমরা এই ভূখণ্ডের মালিক। বাইরে থেকে যখন শত্রু আসে, সেনা বা বেসামরিক ব্যক্তি, সবাই তখন শত্রু। আমার ভূখণ্ডে যেই আসুক (দখল করতে), সেই শত্রু এবং অপরাধী।

গাজা থেকে মানুষ স্থানান্তর যুদ্ধাপরাধ : অসলো চুক্তির অন্যতম সমন্বয়ক ও ফিলিস্তিন-ইসরাইলের আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করার পেছনে ভূমিকা রাখা নরওয়ের কূটনীতিক জ্যান এগেল্যান্ড বলেছেন, উত্তর গাজা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের শামিল।

বিবিসির রেডিও ফোরকে তিনি বলেন, গাজায় হতে যাওয়া মানবিক ‘বিপর্যয়’ সামাল দেওয়ার কোনো কার্যকরী পন্থা এখন নেই। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক শিশু রয়েছে। সেখানকার কারও পক্ষে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বসবাসের অযোগ্য হাজার হাজার ঘরবাড়ি রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে। পশ্চিমারা এখনো ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

হিজবুল্লাহকে নিয়ে ইরানের হুঁশিয়ারি : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির আব্দুল্লাহিন।

শনিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি গাজায় হামলা বন্ধ না করা হয়, তাহলে এই যুদ্ধে যোগ দিতে পারে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আর যদি হিজবুল্লাহ এতে যোগ দেয়, তাহলে বিশাল ‘ভূমিকম্পের’ কবলে পড়বে ইসরাইল। বৈঠক শেষে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়টি নিজেদের বিবেচনায় নিয়েছে হিজবুল্লাহ। ফলে ইসরাইলের যত দ্রুত সম্ভব গাজায় হামলা বন্ধ করা উচিত।

আমির আব্দুল্লাহিন জানিছেন, তিনি হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসেরুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েছে। যদি এই প্রতিরোধ বাহিনী কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়, সেটি ইহুদিবাদীদের অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের সৃষ্টি করবে।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই সংকটের একমাত্র সমাধান : পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিরসনের একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার বিশকেকে কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটসের (সিআইএস) সম্মেলনে বক্তব্যে পুতিন বলেন, ইসরাইল এক অভূতপূর্ব আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, যা ইতিহাসে আগে কখনোই দেখা যায়নি। শুধু মাত্রার দিক থেকেই নয়, যেভাবে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটিও নজিরবিহীন। পুতিন গাজায় ইসরাইলি অবরোধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেনিনগ্রাদ অবরোধের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটি মেনে নেওয়া যায় না। সেখানে ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। হয়তো সবাই হামাসকে সমর্থন করে না; কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে নারী-শিশুসহ সবাই। এ সংকট সমাধানে রাশিয়া মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, সবার আগে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জাতিসংঘে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব রাশিয়ার : ‘মানবিক কারণে’ গাজা উপত্যকা ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব নিয়েছে রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া এ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। সংঘর্ষ চলতে দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে মস্কো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত রাশিয়ার প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং সব জিম্মির নিরাপদ মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।

বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদী সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দাও জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, খসড়া প্রস্তাবের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশ ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *