একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, চিংড়ির মাথা ও খোসা ছাড়ালে এটি হুবহু শিশুর ভ্রূণের মতো দেখতে। তাই অনেকেই গর্ভাবস্থায় এ মাছ খাবেন কি খাবেন না, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন।
নারীদের গর্ভাবস্থায় খুব সচেতন থাকতে হয়। কেননা, এ সময় চলাফেরা, জীবনধারণ ও খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন হলে অপ্রত্যাশিত অনেক ঝুঁকিই এড়ানো সম্ভব হয়। তাই অনেকেই এ সময় কিছু খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেন। কিছু খাবার নিয়ে থাকেন দ্বিধাগ্রস্ত। এমনই এক খাবার চিংড়ি।
চিকিৎসা শাস্ত্রে হবু মায়েদের জন্য বিশেষভাবে ডায়েটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হবু মায়ের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এবং অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে নিশ্চিন্তে এই মাছ খেতে পারেন।
তবে অনেক সময়ই চিকিৎসকরা গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সামুদ্রিক মাছ খেতে নিষেধ করেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই চিকিৎসককে জিজ্ঞাস করুন নিষেধ করা সামুদ্রিক মাছের মধ্যে চিংড়ির নাম রয়েছে কি না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসক চিংড়ি খাওয়ার পরামর্শই দেবেন।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এমন সব সবজি বা ফল সেই অঙ্গটির জন্য বেশ উপকারী। এ হিসেবে ভ্রূণের সঙ্গে চিংড়ির সাদৃশ্য থাকায় চিংড়ি গর্ভাবস্থায় খায়া জরুরি।
গর্ভের শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের চিংড়ি খাওয়া বেশ উপকারী। গবেষণা বলছে, চিংড়িতে আছে ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামে মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ, যা হবু মা এবং সন্তানের শরীরে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে, শিশুর সুগঠন নিশ্চিত করে এবং হবু মায়ের প্রসবসংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।
সূত্র: এই সময়