অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের ফেভারিট দাবি করায় অনেকেই মুচকি হেসেছিলেন। যে দলের বিপক্ষে আগের পাঁচ ওয়ানডেতে কোনো জয় নেই তাদের বিপক্ষে নিজেদের ফেভারিট দাবি করা হাস্যকর মনে হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার শক্তিশালী ভারত নারী দলের বিপক্ষে দারুণ জয়ে নিগার প্রমাণ করলেন বাংলাদেশকে ফেভারিট বলেছিলেন তিনি আত্মবিশ্বাস থেকেই। বৃষ্টির বাধায় ৪৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ১৫২ রানে অলআউট হয়। ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৪। মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত গুটিয়ে যায় ১১৩ রানে। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪০ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ পুরুষ দল ওয়ানডেতে ১২তম দেখায় প্রথম জিতেছিল। মেয়েরা এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ ম্যাচেই প্রথম জয় পেয়ে গেল। সীমিত ওভারের দুই সংস্করণ মিলিয়ে পরপর দুই ম্যাচে এলো দুটি স্মরণীয় জয়। টি ২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের জয় ছিল চার উইকেটে। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি একই মাঠে বুধবার।
মিরপুরে ১১ বছর আগে সর্বশেষ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ভারতের বিপক্ষে হোম অব ক্রিকেটে খেলার দাবি নিগাররাই তুলেছিলেন। কাল টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি। ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেও নেই কোনো হাফ সেঞ্চুরি। অধিনায়ক নিগার সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। ফারজানা হক করেন ২৭ রান। ১৫২ রানে নয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত স্বর্ণা আক্তার পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৪।
টি ২০ সিরিজে ভারতের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। ওয়ানডেতেও তারা স্বাগতিক বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না। সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান ডান-হাতি পেসার মারুফা আক্তার। এর আগে তিনটি ওয়ানডে খেলে ১৮ বছর বয়সি এই পেসারের ছিল না কোনো উইকেট।
এক সিরিজ পর ওয়ানডে দলে ফিরে এবার ২৯ রানে তার শিকার চার উইকেট। এই সংস্করণে বাংলাদেশের পেসারদের সেরা বোলিং ফিগার এটিই। শেষ টি ২০তে তিন উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখা লেগ স্পিনার রাবেয়া খান এবারও নেন তিনটি, ৩০ রান দিয়ে। ভারতের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেও সর্বোচ্চ ২০ রান এসেছে দীপ্তি শর্মার ব্যাট থেকে।