চীনের যে শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে, সেই উহানে ফের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। বুধবার শহরটিতে চারজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার পরই সেখানে লকডাউন দেওয়া হয়। এতে শহরটির অন্তত ১০ লাখ মানুষ কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পড়েছেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, জিয়াংজিয়া জেলায় বুধবার থেকে লকডাউন দিয়েছে চীন সরকার।
এর আগে চীনের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সাংহাইয়ে লকডাউন জারি করেছিল চীন সরকার। দুই মাসের কঠোর লকডাউনের পর গত মাসে সাংহাই থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। এরপর উহানে লকডাউন জারি করা হলো।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, উহানের হুয়ানান সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে প্রথম করোনা ছড়িয়েছিল, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত দুই নতুন গবেষণায় ভাইরাসটি চীনের উহানের ল্যাব থেকে নয় বরং বন্যপ্রাণীর বাজার থেকেই ছড়িয়ে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে করোনার উৎপত্তি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই শহর থেকেই করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। তবে চীন শুরু থেকেই কঠোর নীতির কারণে করোনা মহামারি প্রতিরোধে অনেকটা সফল হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ২২ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭০০ জন। যদিও চীন সরকারের বিরুদ্ধে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।
করোনা মহামারিতে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬৯ জন।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় দেশ ভারত। দেশটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৭ জন। মারা গেছে ৫ লাখ ২৬ হাজার ১৬৭ জন। তবে মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ব্রাজিল। দেশটিতে মারা গেছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭১ জন। সংক্রমনের শিকার হয়েছে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, বিশ্বে এ পর্যন্ত ৫৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছে ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।