উত্তর কোরিয়ার বিচিত্র আইন নিয়ে যত ধোঁয়াশা

উত্তর কোরিয়ার বিচিত্র আইন নিয়ে যত ধোঁয়াশা

ফিচার স্পেশাল

জুন ১০, ২০২৩ ১:০৩ অপরাহ্ণ

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে কে না চেনেন? মাঝে মাঝেই বিচিত্র আইনের কারণে তিনি সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন। এবারও তেমনই একটি ঘটনায় সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে উঠে এল উত্তর কোরিয়ার নাম।

সম্প্রতি কিছু বছরে উত্তর কোরিয়ায় বেড়ে গেছে আত্মহত্যার প্রবণতা। সেই প্রবণতা ঠেকাতেই এবার নয়া আইন আনল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। সেই দেশে আর আত্মহত্যা করা যাবে না। নিজেকে শেষ করার প্রবণতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কিম জং উন। সম্প্রতি একটি বৈঠকে সেই নিয়েই উচ্চপদস্থ কর্তাদের নির্দেশ দিলেন কিম। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স সূত্রে খবর, আত্মহত্যা নিষিদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি। তবে এখনো পর্যন্ত এই নির্দেশ সরকারি আমলাদের মধ্যেই ‘গোপনীয়’ রয়েছে বলে জানা গেছে।

আত্মহত্যা নিষিদ্ধ করার নেপথ্যে একটি নতুন যুক্তিও দিয়েছে কিম জং উনের সরকার। তার কথায়,  আত্মহত্যা করার প্রবণতা আদতে সামাজিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা। নাগরিকদের সেই প্রবণতা থেকেই মুক্ত করতে চাইছে সরকার। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ভয়াবহ মন্দা। তার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর দলের হাতে এসেছে নতুন তথ্য।

উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া

জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ায় গত বছরের তুলনায় এই বছর আত্মহত্যার ঘটনা ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম মিররে প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদন। দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর দলের এক মুখপাত্র বলেন, উত্তর কোরিয়ার নানা অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী,  একটি জরুরি বৈঠকেই আত্মহত্যা সংক্রান্ত এই বিশেষ নির্দেশ পাশ করানো হয়।

এরই মধ্যে অন্য এক বৈঠকে জানানো হয়, চঙজিং ও কিয়ঙসঙ শহরে ৩৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, অভুক্ত থাকার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়েছে সারা দেশে। তবে দ্য সানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায়ানগঙ প্রদেশের বৈঠকে আত্মহত্যাকে অভুক্ত থাকার ফলে মৃত্যুর থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সমাজের উপর আত্মহত্যার ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই বেশি বলে জানান ওই বৈঠকের কর্তারা। তবে এর পাশাপাশি আরেকটি তথ্যও উঠে আসে। ওই বৈঠকের এক মুখপাত্র বলেন, জেনারেল সেক্রেটারির তরফে আত্মহত্যার ঘটনা কমানোর জন্য নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই। তবে কার্যত, সেই ব্যবস্থার কোনোটাই এখনও ফল দেয়নি।

কিন্তু আত্মহত্যা ঠেকাতে যে আইন আনা হচ্ছে, তার ফল কেউ এ ধরনের চেষ্টা করলে, তার শাস্তি কী হবে? সেই বিষয় নিয়ে এখনও অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় হয়তো আত্মহত্যার চেষ্টার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *