ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব

ধর্ম

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

আবশ্যক পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজে আইন অর্থাৎ অবশ্য কর্তব্য। আর ফরজ বর্জন করা কবিরা গোনাহ।

আবশ্যক পরিমাণ বলতে-নামাজ, রোজা ইত্যাদি ফরজ বিষয় এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় লেনদেন ও আচার-ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়াদির মাসআলা-মাসায়েল ও হুকুম-আহকাম জানা। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ইল্ম যা অন্যের উপকারার্থে প্রয়োজন, তা হাসিল করা ফরজে কেফায়া অর্থাৎ কতক লোক অবশ্যই এরূপ থাকতে হবে যারা দ্বীনের সব বিষয়ে সমাধান বলে দিতে পারবেন, অন্যথায় সবাই ফরজ ছাড়ার পাপে পাপী হবেন।

তাই প্রত্যেক এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞ আলেম থাকা আবশ্যক। ইল্ম-এর শাব্দিক অর্থ জ্ঞান। ইসলামের পরিভাষা অনুসারে কুরআন হাদিস তথা ইসলামের জ্ঞানকেই ইল্ম বলা হয়।

কুরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহতায়ালা তাদের মর্যাদা অনেক উঁচু করে দেন। (সূরা মুজাদালা, আয়াত : ১১)। আল্লাহতায়ালা যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনি বুঝ (ধর্মীয় জ্ঞান) দান করেন। (বুখারি ও মুসলিম)।

হজরত আবু যর গিফারী (রা.) বলেন, রসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, হে আবু যর! তুমি যদি সকালবেলা গিয়ে কুরআনের একটি আয়াত শিক্ষা কর, তাহলে তোমার জন্য তা একশ রাকাত নফল নামাজ পড়া থেকেও উত্তম। আর যদি সকালবেলা গিয়ে ইলমের একটি অধ্যায় শিক্ষা কর, তাহলে তোমার জন্য তা এক হাজার রাকাত নফল নামাজ পড়া থেকেও উত্তম (ইবনে মাজা)।

এই যে ইলম হাসিল করার এত গুরুত্ব ও ফজিলত। এ ইলম হাসিল করার জন্যও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সাধারণত তিন পদ্ধতিতে ইলম হাসিল করা যায়। যথা : (এক). নিয়মিত কোনো ওস্তাদ থেকে। (দুই). দ্বীনি কিতাবাদি পাঠ করে। (তিন). কারও থেকে ওয়াজ-নসিহত বা দ্বীনি আলোচনা শুনে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *