ইবিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

ইবিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

শিক্ষা

জুন ১৭, ২০২৩ ৯:৪০ অপরাহ্ণ

মংক্যচিং মারমা, ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন এবং ই-গভর্নেন্স ও ইনোভেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৭ জুন) প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলার সভা কক্ষে দুইদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম. আলী হাসানের সভাপতিত্বে এবং উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও এপিএ বাস্তবায়ন টীমের ফোকাল পয়েন্ট চন্দন কুমার দাসের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা। এসময় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও মোঃ মামুন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস প্রধানগণসহ বিভিন্ন অফিস ও বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার বলেন, মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও অনেক দেশের তুলনায় আমরা অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভালো অবস্থানে আছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ-নিজ জায়গা থেকে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালেই কিন্তু এপিএ’র গোড়াপত্তন হয়েছিলো। মাননীয় প্রধামন্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন, আমরা যারা সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি তাঁদেরকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত শুধু করায় না, তাঁদের অবদান ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের দুইটা কম্পোনেন্ট, একটা হলো ক্যাশলেস সোসাইটি অন্যটি পেপারলেস অফিস। ক্যাশলেস সোসাইটির মাধ্যমে সমাজে ঘুষ নামক মহামারি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ৯৪ শতাংশ কাজকর্ম এখন ই-নথির মাধ্যমে সম্পন্ন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *