আরাফাতের দিন বা আরাফার দিন ইসলামের একটি পবিত্র দিন। যেটি ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণতা লাভের দিবস হিসেবে পরিচিত। এ দিনটি ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে সংগঠিত হয়, যা রমজান মাস শেষ হওয়ার প্রায় ৭০ দিন পর ঘটে।
বিশ্বের অনেক দেশে আরাফাত বা আরাফার দিবসটির পরিচিতি রয়েছে। পবিত্র আরাফাতের দিবস উপলক্ষে অনেক দেশেই সরকারি ছুটি থাকে। ৯ জিলহজ দিবসটিকে কেন্দ্র করে ছুটির পরের তিনদিন (১০, ১১ ও ১২ জিলহজ) থাকে ঈদুল আজহার ছুটি। এই দুটি ছুটি একই সঙ্গে হওয়ায় একসঙ্গে ঘোষিত হয়। এর ফলে অনেকেই আরাফাতের দিবসের ছুটিকে ঈদের ছুটি হিসেবেই ধরে নেন।
জানা যায়, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো কয়েকটি দেশে আরাফাতের দিবসে স্বতন্ত্র ছুটি থাকে। এসব দেশে আরাফাতের দিবসের ছুটিকে স্বতন্ত্র সরকারি ছুটি হিসেবেই গণ্য করা হয়। ঈদের ছুটির অনুষঙ্গ হিসেবে নয়।
এসব দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় ক্যালেন্ডারে আগামী কয়েক বছর আরাফাতের দিবস কবে হতে পারে তার অনুমিত দিনটি আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়। যাতে করে সরকারি-বেসরকারি কাজে কিংবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো ঝামেলা পোহাতে না হয়।
আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে আরাফাতের দিবসে সরকারি ছুটি থাকলেও অনারব বা মুসলিম অধ্যুষিত অনেক দেশে এই দিবস অন্যান্য কর্মদিবসের মতোই। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ রয়েছে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া।
প্রসঙ্গত, আরাফার দিন হলো ইয়াওমুল আরাফা বা ৯ জিলহজ, যেদিন হাজীরা হজের প্রধান ফরজ অকুফে আরাফা বা আরাফা প্রান্তরে অবস্থান করেন।
আরাফার রোজার ফজিলত সংক্রান্ত হাদিসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি, বরং নির্দিষ্ট একটি বিশেষ দিনের উল্লেখ করেছেন; আর সেদিনটি হলো আরাফার দিন অর্থাৎ হজের দিন, যে দিন হাজীরা আরাফা ময়দানে অবস্থান করেন।