এপ্রিল ১, ২০২৩ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৪০ সাল নাগাদ ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে জাপান। এর ফলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দেশটি।
স্বাধীন থিংক ট্যাংক রিক্রুট ওয়ার্কস ইনস্টিটিউট গবেষণার সমীক্ষা অনুসারে, ২০২৭ সাল থেকে দেশটিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর হার দ্রুত কমতে পারে বলে আশংকা করা যায়। মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমের চাহিদা স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও ২০২২-৪০ সালে শ্রমিক সরবরাহ প্রায় ১২ শতাংশ কমে যাবে। এর ফলে ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়বে জাপান।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের গতিরোধের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। শিশুর জন্মহার হ্রাসের কারণ হিসেবে সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করে সতর্ক হতে বলেন। পাঁচ বছরে উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন কর্মী তৈরি করতে এ-বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৭৬৯ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ১২ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর জাপান এরই মধ্যে কর্মী সংকটের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
গবেষণার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালের তুলনায় কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০ শতাংশ কমে ২০৪০ সাল নাগাদ ৫ কোটি ৯৮ লাখে নামতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মধ্যে ট্রাকচালকদের গুরুতর ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে দেশটি। কিশিদা সরকার ঘাটতি মোকাবেলার উপায় খুঁজছেন।
গবেষণায় আরো সতর্ক করা হয়েছে, পরিবহন ও নির্মাণের মতো শ্রমনিবিড় খাতগুলোয় শ্রমিকের ঘাটতি তীব্র হয়ে উঠতে পারে। বড় ধরনের প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্যসেবা খাতেও। কেননা বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ক্রমবর্ধমান কর্মী চাহিদা তৈরি হবে।
জাপানের গ্রাম ও শহরের মধ্যকার সকল পার্থক্যগুলো সময়ের সঙ্গে আরো বৃদ্ধি পাবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, টোকিও ছাড়া দেশের সব অঞ্চলই ২০৪০ সালের মধ্যে শ্রমিক ঘাটতির মুখোমুখি হবে। জাপানের পুরনো রাজধানী কিয়োটো প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৩৯ শতাংশ শ্রমিক ঘাটতিতে পড়বে। অন্যদিকে হোক্কাইডোর উত্তর দ্বীপে এ ঘাটতির পরিমাণ হবে ৩২ শতাংশ।
সূত্র: দ্য জাপান টাইমস