এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) টানা পঞ্চম হার দেখল দিল্লি ক্যাপিটালস। এতে চলমান আসরে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতেই রয়ে গেল ডেভিড ওয়ার্নারের দলটি।
শনিবার এম চিন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এ ম্যাচে ২৩ রানে হেরেছে দিল্লি।
এদিন শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করেছিল ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে হাঁফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। জবাবে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে পেরেছে দিল্লি।
এর আগে টস জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
এ ম্যাচেও ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু প্লেসি। এরপর দু’জনেই ভালো সূচনা এনে দেয় ব্যাঙ্গালুরুকে। ২৮ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ৪২ রান। ১৬ বলে ২২ করে আউট হন ডু প্লেসি।
তবে বিরাট কোহলি তুলে নেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। ৩৪ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর মহিপাল লমরর ১৮ বলে ২৬ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৪ বলে ২৪ রানের দুটি ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলে দিয়ে যান। শেষদিকে শাহবাজ আহমেদ ১২ বলে করেন অপরাজিত ২০। এতে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু।
দিল্লির হয়ে মিচেল মার্শ আর কুলদ্বীপ যাদব নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দিল্লি। এদিন টানা হারের বৃত্ত থেকে দলকে জয় েএনে দিতে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় পৃথী শ্ব। তবে শুরুতেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে শূন্য রান করেন তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে যথাক্রমে মিচেল মার্শ (০) ও ইয়াশ ধুল (১) আউট হয়ে ফিরলে আরো বিপদে পড়ে দিল্লি। এরপর মানিশ পান্ডেকে নিয়ে দলীয় ইনিংস লম্বা করতে থাকেন ওয়ার্নার।
তবে ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ওয়ার্নারও। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ভিশাকের বলে আউট হয়ে যান তিন। আউট হওয়ার আগে ১৯ রান করেন এ অজি ব্যাটার।
লক্ষ্য তাড়ায় এমন বাজে শুরুর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি। যদিও মিডল অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করেছেন। বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝেও হাঁফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন এদিন মানিশ পান্ডে। তাছাড়া অক্ষর প্যাটেল ২১ ও অপরাজিত ২৩ রান করেছেন এনরিখ নরকিয়া।
ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ভিশাক তিন উইকেট শিকার করেছেন এবং সিরাজ নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়াও পার্নেল, হাসারাঙ্গা ও হার্ষ প্যাটেল একটি করে উইকেট পেয়েছেন।