এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার
প্যারাবন সাবাড় করে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর বুকে গড়ে তোলা শহরের আলোচিত আবাসন প্রকল্পের ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান’র নির্দেশে মঙ্গলবার বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতায় দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক নয়ন শীল ছাড়াও র্যাব, পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী দখল করে হঠাৎ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রথম দিনে ছোট-বড় অন্তত ২০০ অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদীতে গড়ে তোলা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ২০০ গজের মধ্যে বাঁকখালী নদী দখল করে প্যারাবনের গাছ কেটে গড়ে তোলা হয় আবাসিক এলাকা। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০০ কিলোমিটার হলেও অবৈধ এ দখল প্রক্রিয়া চলে প্রায় ১২ কিলোমিটার।
পরিবেশবাদীদের দাবি, বিস্তীর্ণ এ এলাকায় অবৈধভাবে ছোট-বড় অন্তত ৫০০ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে নদীকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৪ সালে রিট করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
গতকাল বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ডেইলি মর্নিং গ্লোরী কে বলেন, বাঁকখালী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন হচ্ছিল না। এ জন্য সম্প্রতি বেলা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করে। আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বেশ কয়েকবার সময় নেন।
গত রোববার আরও এক সপ্তাহের সময় নেওয়া হয়। অবশেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হওয়ায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি, অভিযান অব্যাহত থাকবে।কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন,উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক বাঁকখালি নদীর তীরে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
নদীর বুকে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যত বাধাই আসুক তা কোন ভাবে সহ্য করা হবে না। অপরাধীদের অপরাধ সমূলে শেখড় মূলোৎপাটনে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।।