ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

দেশজুড়ে

মে ৪, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ

রমজান মাসের রোজা শেষে উদযাপন করা হয় মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। তাই গ্রামের বাড়িতে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এবার রোজা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।

তবে ঈদের দিনেও ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে কিংবা ঢাকা থেকে বের হওয়ার বিভিন্ন মোড়ে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদের দিন রাজধানীর আব্দুল্লাপুরে দুপুর থেকেই ঘরমুখী মানুষদের ভিড় দেখা গেছে। বাড়িতে থাকা আপনজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি ঈদের নামাজ শেষে ফিরছেন বাড়ি। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, আর নেত্রকোনামুখী মানুষদের ভিড় দেখা গেছে বেশি।

আব্দুল্লাহপুর বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন শোয়েইব। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, চাকরির কারণে বাবা-মা থাকেন শরীয়তপুরে। তারা শবে কদরের আগের রাতে প্রতি বছর এলেও এবার এসেছেন দেরিতে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। তাই বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। তাদের নিয়েই বাড়ি ফিরবো বলে প্রস্তুত ছিলাম। আজ তারা এলেন। তাই ময়মনসিংহগামী সৌখিন এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় আছি। এখন বাস এলেই উঠবো।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আশিক আহমেদ। বাড়ি সিলেটে। তিনি জানান, গ্রামের বাড়ি সিলেটে আমার চাচা-চাচি থাকেন। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় ঈদ পালন করলেও প্রতিবছর ঈদের পরের দিন গ্রামে যাই। সেখানে দুই/তিন দিন থেকে আবার ফিরে আসতে হয়।

রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন।

অনেকেই রাজধানীতে চাঁদ রাত (ঈদের আগের রাত) পর্যন্ত ব্যবসা বা বিভিন্ন কাজ করেন। হোটেলের কর্মচারী, মুচি, নরসুন্দর (নাপিত), রিকশা-ভ্যান-পিকআপের চালক, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। তারা ঈদের আগে রাজধানীতে বাড়তি আয় করতে এবং পরিবহন খরচ বাঁচাতে আজ বাড়ি যাচ্ছেন।

গজারিয়া পরিবহনের বাসে মুন্সীগঞ্জ যাবেন রানা। তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি তো যেতে হবে। কেন না, বাড়ির বাইরে কেউ থাকলে তার পথ চেয়ে বসে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। তাই দেরিতে হলেও আজ ঈদের দিন বাড়িতে যাচ্ছি। দেরিতে গেলেও ঈদের আনন্দে কমতি হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *