গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝে হঠাৎই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ২৮ ঘন্টার অবসর প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে দেড়মাসের ছুটিতে দেশের বাইরে যান। সেসময়ই ইংল্যান্ডে কোমরের চিকিৎসা নিয়ে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দেশে ফেরেন এ বাঁ-হাতি ওপেনার।
এরপর গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক করেন তামিম। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি স্থায়ীভাবে টাইগারদের নেতৃত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ঠিক কি কারণে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন তামিম, তা এতদিন রহস্যই ছিল। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশসেরা এ ওপেনার।
সমস্যার শুরুটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে। প্রথম ম্যাচে কিছুটা চোট নিয়েই খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। যা ভালো ভাবে নেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এমনকি এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন প্রধান কোচ।
টিম ম্যানেজমেন্টের এমন আচরণের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম। এরপর অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ক্রিকেটে ফিরলেও হাথুরুসিংহের সঙ্গে তামিমের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি যদি কারো ওপর সন্তুষ্ট না থাকি কিংবা কেউ যদি আমার ওপর সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে এত বড় ইভেন্টে (বিশ্বকাপে) আপনি যদি শুধু পজিশনটাকে (অধিনায়কত্ব) ধরে রাখেন-ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না বা একটা অস্বস্তি থেকে যাচ্ছে, তো এটাতো দলের মধ্যে একটা প্রভাব ফেলবেই। আমি সেই স্বার্থপর ব্যক্তিটা হতে চাইনি। আমার জন্য ৫ শতাংশও যদি দলের ওপর প্রভাব পড়ে তাহলে সেটা আমি চাই না।’
শুধু নেতৃত্বই নয়, কোমরের চোটের কারণে আসন্ন এশিয়া কাপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম। ফলে তার জায়গায় জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। সিনিয়র তামিমের পরিবর্তে এখন তাকেই বিকল্প ভাবা হচ্ছে। তবে অভিষেক না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।