এপ্রিল ২২, ২০২২ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করায় উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষেপেছে টেনিসের দুটি সংস্থা এটিপি ও ডব্লিউটিএ। শুধু তাই না, উইম্বলডনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বসেরা টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচও।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে পড়েছে ব্যাপক প্রভাব। রাশিয়ার ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অনেক দেশ ও ব্যক্তি। রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ধনকুবের, কাউকেই দেওয়া হয়নি এতটুকু ছাড়! এবার ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানের ক্ষেসারত গুণতে হচ্ছে দেশটির টেনিস খেলোয়াড়দের।
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে টেনিস বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী আসর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ‘উইম্বলডন’। ২৭ জুন টুর্নামেন্টের পর্দা উঠার পর যার সমাপ্তি হবে ১০ জুলাই। এ আসরে অংশ নিতে পারবেন না রাশিয়ার টেনিস তারকা দানিল মেদভেদেভ ও বেলারুশের নারী খেলোয়াড় আরিনা সাবালেঙ্কা। এর বাইরেও আছেন অনেকে।
শুধু টেনিসের সংস্থা নয়, বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বসেরা টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচও। তিনি জানান, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। তার মতে, যখন ক্রীড়া মাধ্যমে রাজনীতির ছায়া পড়ে তখন সেটার ফল ভালো হয় না। জোকোর ভাষ্য, ছোটবেলা থেকেই আমি যুদ্ধের বিপক্ষে। ১৯৯৯ সালে সার্বিয়াতে যে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্মৃতি মনে পড়লে আমি এখনো শিউরে উঠি। একটা যুদ্ধে সবসময় সাধারণ মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উইম্বলডনের সিদ্ধান্তে আমি একমত নই। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। খেলোয়াড়, অ্যাথলিটদের সঙ্গে যুদ্ধের কি সম্পর্ক? রাজনীতি আর খেলাকে একসঙ্গে মেলানো ঠিক না।
উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের কোনো দেশকে নিষিদ্ধ করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারা নিষিদ্ধ করেছিল জার্মানি ও জাপানের হয়ে অংশ নিতে যাওয়া খেলোয়াড়দের। এত বছর পর আবারো সে পথেই হেঁটেছে তারা।