শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। আপনি কখন খাচ্ছেন আর কী পরিমাণে খাচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করে শরীরের ভালোমন্দ।
একটা সময় ছিল, যখন রাতের খাবারকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হত। তবে সময় বদলেছে, এখন আমরা যে ধরনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি তাতে পুষ্টিবিদরা ভারী প্রাতরাশ আর হালকা রাতের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া যাবে না। অল্প করে হলেও কিছু না কিছু খেতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উল্টো পিরামিডের ধাঁচেই খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ বেলা যত বাড়বে খাবারের পরিমাণ ততটাই কমিয়ে ফেলতে হবে।
কেন রাতের খাবার হালকা হওয়াই ভালো?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভরপেট খেয়েই শুয়ে পড়লে, হজমের সমস্যা হতে পারে। তারচেয়ে খাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাচলা করুন, বা়ড়ির অন্য কাজ করুন। তাহলে হজমেও সুবিধা হবে, আবার ঘুমও তাড়াতাড়ি আসবে। শরীর থাকবে চাঙ্গা। দূর হবে নানা রোগব্যাধি।
প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না
অনেকেই আছেন, যারা অফিসের তাড়ায় প্রাতরাশ না করেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরেন। এই অভ্যাস মোটেই ভালো নয়। দিনের প্রথম খাবার থেকেই শরীর সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করে। তাই প্রাতরাশ এড়িয়ে চলা একেবারেই ঠিক নয়। অনেকে আবার এমনও আছেন যারা মেদ ঝরানোর জন্য রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। সেটাও কিন্তু ক্ষতিকারক। অনেক সময় ধরে খালি পেটে থাকলে শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা কখনই এমন ভুল করবেন না।
সূত্র: আনন্দবাজার