এপ্রিল ২৪, ২০২২ ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ
মুক্তির অপেক্ষায় অজয় দেবগন অভিনীত সিনেমা ‘রানওয়ে ৩৪’। এ সিনেমায় অজয়ের সঙ্গে আরও দেখা যাবে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বাচ্চান ও রাকুল প্রীত সিং কে।
২০১৬ সালে অজয় দেবগনের পরিচালনায় মুক্তি পায় সিনেমা ‘শিবায়। তবে বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই সিনেমা অজয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। এরপর অনেক দিনই অজয় নিজেকে দূরে রেখেছিলেন পরিচালনা থেকে। এবার সেই ব্যর্থতা ভুলে আবারো পরিচালনার আসনে ফিরেছেন অজয়। মুক্তি পাচ্ছে অজয় দেবগন পরিচালিত সিনেমা ‘রানওয়ে ৩৪’।
সিনেমাটি এখন ‘রানওয়ে ৩৪’ নামে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও আগে এই সিনেমার নাম ছিল ‘মে ডে’। তবে ঠিক কী কারণে পরিবর্তন করা হলো এই সিনেমার নাম, সে কথাই জানালেন পরিচালক অজয় দেবগন।
সিনেমার কাহিনীতে দেখা যাবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে একটি বিমানকে বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর সেই বিমানের চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে অজয় ও রকুলকে। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনার তদন্তে থাকা অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে বিগ বি অমিতাভ বচ্চনকে। ‘মে ডে’ শব্দটি আসলে একটি বিশেষ কারণে উচ্চারণ করেন পাইলটরা এবং আন্তর্জাতিকভাবেও সব দেশের পাইলটরা এটি মেনে চলেন।
বিমানের পাইলটরা যে রেডিও কমিউনিকেশনের মধ্যে দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করেন, তাতে সামনেই বিপদ বোঝাতে তিনবার এই সাংকেতিক শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেসব কথা ভেবেই ছবির নাম ‘মে-ডে’ রাখা হয়েছিল, সিনেমার থিমের সাথে মিলিয়ে।
তবে পরবর্তীতে সিনেমাটির কর্তৃপক্ষ লক্ষ করেন পাইলট বা এই কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা ছাড়া সাধারণ জনগণ এই শব্দের সাথে পরিচিত নন।
এ বিষয়ে পরিচালক ও অভিনেতা অজয় দেবগন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘একটা খুব মজার ঘটনা রয়েছে। মানুষের এ ছবির নাম নিয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। ভেবেছিলাম হয়তো ছবির প্রচারের সময় বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু একদিন একজন খুব শিক্ষিত প্রবীণ আমার কাছে জানতে চান মে-ডে ছবিটা শ্রম দিবসকে কেন্দ্র করে? সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ছবির নামটা বদলে ফেলতে হবে’।
তবে ‘রানওয়ে ৩৪’ কেন রাখা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে অজয় জানান, ‘রানওয়ে ৩৪ একদম উপযুক্ত নাম, কারণ যখন সবাই ছবিটা দেখবে বুঝবে যে পুরো গল্পটাই ওই রানওয়ে ৩৪-এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। প্রত্যেক এয়ারপোর্টের আলাদা নম্বর থাকে রানওয়ের, আপনি বুঝবেন কেন সে ভুল রানওয়ে বেছে নিয়েছিল’।!
জানা গেছে, ২০১৫ সালে জেট এয়ারওয়েজের দোহা থেকে কোচিগামী একটি বিমানের সত্য ঘটনা অবলম্বনে এ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে, সব রকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে কীভাবে একজন পাইলট প্রায় ১৫০ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিল, সেটাই উঠে আসবে এই সিনেমায়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস