এপ্রিল ১৩, ২০২২ ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
উপমহাদেশের বাইরের কন্ডিশনে টেস্ট খেলার জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা বাংলাদেশ দলের ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের জন্য এটাকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন সাবেকরা। সামনেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে আরও একটি সিরিজ। সেখানে এ ধরনের ভুল করলে আবারো পথ হারাতে হবে। তাই মুমিনুলদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ সাবেক ক্রিকেটারদের।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতির পরই ডারবান টেস্টে ভরাডুবি। ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে উড়তে থাকা টাইগারদের মাটিতে নামিয়ে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ শুরুর আগে দেশে কিংবা দেশের বাইরে ১২ টেস্টের একটিতেও জয় ছিল না প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। ওয়ানডে সিরিজ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দূর্গে সে সব পরিসংখ্যান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল মুমিনুল হক বাহিনী। কিন্তু ডারবানে দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ ও সিমন হারমারের তাণ্ডবে চূর্ণবিচূর্ণ হয় টাইগারদের পরিকল্পনা।
প্রথম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৫৩ রানে অলআউটের লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ। ডারবানের ভুলে ফুল ফোটেনি পোর্ট এলিজাবেথেও। চারদিনও লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারো সেই ঘূর্ণি জালেই কাবু মুমিনুলরা। উপমহাদেশের বাইরে বাংলাদেশের বড় ভয় থাকে পেসারদের নিয়ে। বাড়তি বাউন্স আর গতিতে টালমাটাল হন ব্যাটাররা। সে তুলনায় স্পিন বরাবরই পছন্দ টাইগারদের জন্য। নিজেদের সেই চেনা ফাঁদে নিজেরাই নাকাল। কিন্তু সাদা পোশাকে ২২ বছরেও কেন এমন বেহাল দশা? সাবেকদের মতে টাইগারদের খেলায় ছিল না পরিকল্পনার ছাপ।
সামনেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। আগামী মে মাসে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও লঙ্কানরা। টাইগারদের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিমের মতে, চেনা প্রতিপক্ষ হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে থাকতে হবে সতর্ক।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এর আগে ২২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের জয় ১৭ ম্যাচে। টাইগাররা জয় পেযেছে মাত্র একবার। ড্রয়ের সুখস্মৃতি আছে চার টেস্টে।