রুপালি জগতে যাত্রা শুরু করে খুব অল্প সময়েই নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন রাশমিকা। রূপ আর গুণ দিয়ে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এ কারণে এই অভিনেত্রীকে ভক্তরা ডাকেন ‘এক্সপ্রেশন কুইন’ । শুধু তাই না, রাশমিকাকে ‘ভারতের জাতীয় ক্রাশ’ও বলা হয় ।
২০১৬ সালে বেঙ্গালুরু টাইমসের জরিপে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারীর তালিকায় ২৪তম স্থানে ছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে পরের বছরই তালিকায় তার নাম আরও ওপরে উঠে আসে। ২০২১ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ভারতীয় অভিনয় শিল্পীর তালিকায় স্থান পান রাশমিকা। এতে সামান্থা রুথ প্রভু্র মতো লাস্যময়ী অভিনেত্রীকেও পেছনে ফেলেন তিনি।
রাশমিকা মান্দানা। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে খ্যাতি পেলেও এখন বলিউডে একাধিক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী। ‘বিউটি উইথ ব্রেইন’ বলতে যা বোঝায় রাশমিকা সেটিই। সাংবাদিকতাসহ আরও তিনটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে এই অভিনেত্রীর।
কলেজ জীবন থেকে মডেলিং শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১৪ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড কেয়ার টাইমস ফ্রেশ ফেস’ খেতাব জেতেন তিনি। এতেই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ২০১৬ সালে চিত্রজগতে অভিষেক হয় তার। কন্নড় ভাষায় নির্মিত অন্যতম ব্যবসা সফল হয় তার প্রথম সিনেমা । এতে রাশমিকার অভিনয় দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়। সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডসের খেতাব পায় সে।
ধীরে ধীরে দক্ষিণের অন্য ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ শুরু করেন রাশমিকা। ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন তিনি । ২০১৮ সালে বিজয় দেবরকোন্ডার সঙ্গে তার ‘গীতা গোবিন্দম’ সিনেমাটি দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলে। পরবর্তী সময়ে ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমাগুলোর মাধ্যমে দক্ষিণী সিনেমার প্রথম সারির নায়িকাদের দলে যুক্ত হন রাশমিকা।
সূত্র: আনন্দবাজার