এপ্রিল ২৪, ২০২২ ৯:০২ পূর্বাহ্ণ
শিশুর সার্বিক বিকাশে ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতায় একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির তুলনায় শিশুর ঘুমের চাহিদা বেশি থাকে। তবে শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই চাহিদা কমতে শুরু করে।
ঘুম বা নিদ্রা মানুষ এবং অন্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমের এই অবস্থাতে সচেতন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। ব্রেইন এই সময়টাতে তথ্য বিন্যস্ত করার সুযোগ পায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হলেও শিশুদের আরও বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়। এই সময় শিশুদের পাকস্থলী বেশি সময় ধরে মাতৃদুগ্ধ ধরে রাখতে পারে না। তাই তাদের বারবার খিদে পায়। আর এ কারণেই শিশুর ঘুম একটানা ২ থেকে ৪ ঘণ্টার বেশি হয় না। একটানা ঘুমের অভাব শরীর ও মস্তিষ্কের পুষিয়ে নিতে তাই সদ্যোজাত শিশুর প্রথম ১ মাস দৈনিক ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
বয়স ১ থেকে ৪ মাস হলে শিশু ধীরে ধীরে শরীরের সঙ্গে বাহ্যিক পরিবেশ ও দিন রাতের আবর্তনে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখতে শুরু করে। তাই এ সময়টাতে শিশুর ঘুমের পরিমাণ একটু কমে এসে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
৪ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে শিশুর ঘুমের ধরন বড়দের মতো হতে শুরু করে। দিনে একটানা ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমসহ এ সময় শিশুর ঘুমের প্রয়োজন হয় দৈনিক ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
শিশুর ১ থেকে ৩ বছর বয়সে মানসিক ও শারীরিকভাবে দ্রুত বদল আসে। সাধারণত এই সময় শিশুরা দিনে ১ বার এবং রাতে একটানা ঘুম মিলে শিশু মোট ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমায়।
শিশুর বয়স ৩ বছর বা তার বেশি হলে এসময়টাতে ঘুমের পরিমাণ আরও কমে যায়। স্কুল থেকে ফিরে বা খেলাধুলোর পর ক্লান্ত হয়ে দিনে ১ বার ও রাতে একটানা ঘুম মিলে শিশুর মোট ঘুমের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা