ফলের রাজা আম খাননি এমন মানুষ বাংলাদেশে নেই। তবে বিশ্বের দামি আমটিকে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি অনেকের। কী সেই দামি আম।
ভারতে আলফোনসো, ল্যাংরা, হিমসাগরসহ আরও অনেক ধরনের আম রয়েছে। তবে এসব আমের মধ্যে মিয়াজাকি আমের নাম আলাদা করেই বলতেই হয়। একে বিশালাকৃতি ডিম ভেবেও ভুল করে ফেলেন অনেকেই। জাপানেতো একে আদর করে তাইও-নো-তোমাগো বলা হয়। এ শব্দের বাংলা অর্থ সূর্য কিরণের ডিম।
আমের এ জাতটি অবশ্য জাপানের। তবে বর্তমানে এ প্রজাতি ভারতেও চাষ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়াজাকি আমের একটির দাম ৭০ ডলার। তার মানে দাঁড়ায় একটি আম খেতে বাংলাদেশি টাকায় আপনাকে গুনতে হবে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। এ হিসাবে এক কেজি মিয়াজাকি আম কিনতে আপনার খরচ হয়ে যাবে প্রায় ৩ লাখের মতো।
কী চোখ কপালে উঠেছে নিশ্চয়ই! এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন এ আমের এতো দাম? তাহলে বলছি শুনুন, এই আমের কিছু বিশেষত্ব থাকার কারণেই এ আম এতো দামি। চলুন জেনে নেই এ আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
১. ডিটক্সপ্রির প্রতিষ্ঠাতা এবং হলিস্টিক নিউট্রিশনিস্ট প্রিয়ংশি ভাটনাগরের মতে, এ আমটির অনন্য সুগন্ধ এবং স্বাদ রয়েছে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এ আমটিতে।
২. এ আমের আরেকটি বিশেষত্ব হলো এ আমে রয়েছে একসঙ্গে একাধিক পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে ছাড়াও কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
৩. হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এটি বদহজম বা পেটের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখা, ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে এ আম বিশেষভাবে কার্যকরী।
৪. বিশেষজ্ঞরা বলছে, মিয়াজাকি আম কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। এ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম মিয়াজাকিতে রয়েছে ক্যানসারর প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য। নিয়মিত এ ফলটি খাওয়ার অভ্যাসে আপনার বিভিন্ন রকমের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: এই সময়