দুঃশাসন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট বাধায় এক সময়ের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি একটি দিকভ্রান্ত মুমূর্ষু এক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দলটির চারদিকে হতাশা, নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত ও নেতৃত্ব নিয়ে ধোঁয়াশার কারণে মৃতপ্রায় দলে উপনীত হয়েছে বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলে দলে নেতা-কর্মীরা দলত্যাগও অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় কোন্দল, কমিটি বাণিজ্য, সিনিয়র-জুনিয়রদের সমন্বয়হীনতার কারণে বিএনপির বিলুপ্তিরও শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, বিএনপির অবস্থা যেন কাণ্ডারিবিহীন নৌকার মতো। বিএনপিকে চালায় কে, এ সম্পর্কে সন্দিহান নেতা-কর্মীরাও। নেতারা জানেন না কী হচ্ছে, কী করবেন। কর্মীরা জানেন না, নেতারা কী বার্তা দেবেন? সব ঝিমিয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে কোথাও সভা হলেই নেতায় নেতায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এছাড়া দলের নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির হাতে নেই। সিনিয়র নেতাদের নিয়মিত পল্টনের অসহ্য বয়ানে দেশবাসী অতিষ্ঠ। সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়াকে নেতা মানলেও তারেককে নেতা মানতে অনেকেই নারাজ। খালেদা জিয়া অনেকটাই জোর করে তারেককে নেতা বানিয়েছেন। যোগ্যতা না থাকলেও পারিবারিক ক্ষমতাবলে তারেক বিএনপির নেতা হয়েছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই মানছেন না তারেক। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
জ্বালাও-পোড়াও নীতি, খালেদার জেল, অসুস্থতা, তারেক রহমানের দণ্ড, জামায়াতের মতো যুদ্ধাপরাধী দলকে নিয়ে লুকোচুরি খেলায় মেতেছে বিএনপি। রাজনীতির নামে জনগণের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে বিএনপি। যার ফলশ্রুতিতে জনগণও বিএনপির সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। বিএনপির হাঁকডাককে হাসির খোরাক হিসেবে গ্রহণ করছে জনগণ। নিজেদের দোষেই জনগণের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে বিএনপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে বিএনপির মরণদশার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। হারাতে হারাতে আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে বিএনপি। বিএনপিজুড়ে আপোষকারী নেতার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এ দলের তথ্য পাচার হয় বিভিন্ন মহলে। বিএনপির নেতারা কেউ কাউকে বিশ্বাসও করেন না।