রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করায় রাশিয়ার উপর পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিফলে গেছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, সোমবার (১৮ এপ্রিল) পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ভেবেছিল রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মুখ থুবড়ে পড়বে, বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে এবং দোকানে পণ্যসঙ্কট দেখা যাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিকভাবে আক্রমণের কৌশল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে; উল্টো পশ্চিমারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুতিন মনে করেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের দেশগুলোতে জীবনযাত্রার মান কমে গেছে। পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়া প্রচণ্ড চাপের সময় পার করেছে। পুতিনের দাবি, রুবলের শক্তি বেড়েছে এবং তার দেশে বছরের প্রথম চার মাসে উদ্বৃত্তের পরিমাণ রেকর্ড ৫৮ বিলিয়ন ডলার। তবে পুতিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে জানা যায়, এ সময়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পশ্চিমতীর ও পূর্বজেরুজালেমের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রুশ সামরিক অভিযানে ইউক্রেনের অধিকাংশ শহরই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মারিউপোলে ব্যাপক সংঘর্ষের পর রুশ সেনারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে, ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য সময় বেঁধে দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেনীয়রা।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই মারিউপোল থেকে দেড় শতাধিক শিশুকে রুশ সেনারা তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ক্রিমিয়াভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা।