দক্ষিণ আফ্রিকায় বাজে আম্পারিংয়ের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। কমপক্ষে পাঁচটি সিদ্ধান্ত সরাসরি বাংলাদেশের বিপক্ষে দিয়েছে প্রোটিয়া আম্পায়ার ইরাসমাস এবং হোল্ডস্টক। যার প্রতিবাদ করে ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন- বিষয়টি লজ্জাজনক। আর সাকিব আল হাসান দাবি করেছেন নিরপেক্ষ আম্পায়ারের।
ডারবান টেস্টে নূন্যতম চক্ষু লজ্জার বালাই নেই প্রোটিয়া আম্পায়ারদের। যেন তারা পণ করে বসেছেন যেভাবেই হোক সিদ্ধান্ত যাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যদিও রিভিও নিয়ে গোটা দুয়েক সিদ্ধান্ত ইরাসমাস এবং হোল্ডস্টকের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ। তবে আম্পায়ার্স কলের বলি হয়েছে অনেক ডিসিশন।
বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরে টালমাটাল অবস্থা প্রোটিয়া ক্রিকেটে। টেস্টেও যদি হয় একই পরিণতি তাই হয়তো আগেই ভাগেই বিকল্প পন্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তা কলঙ্কিত করেছে ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত ক্রিকেটকে। তাই আর নিরব থাকতে পারেননি ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘আম্পায়াররা স্পষ্টভাবে হোম টিমের পক্ষে কাজ করছে। সমস্ত ক্লোজ কল দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে গেছে। এটা খুবই লজ্জাজনক।’
করোনাকালীন ভ্রমণ জটিলতা এড়াতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাইরের আম্পায়ার আনা আপাতত বন্ধ রেখেছে স্বাগতিক দেশগুলো। তারই সুবিধা নিয়ে ডারবান টেস্টে খেলা পরিচালনা করছে ওদেরই দুই আম্পায়ার। তবে অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের দাবি জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, আইসিসির জন্য এটাই সঠিক সময় নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগের পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার। কারণ, বেশির ভাগ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের কোভিড সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে।’
আমার মনে হয় সময় এসেছে আইসিসির আবারো নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যাওয়া। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেক দেশেই স্বাভাবিক। তাই আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।
ম্যাচ শেষে এই টেস্টের ফলাফল হয়তো বাংলাদেশের জন্য হয়ে থাকবে একরাশ হতাশার। সেই লজ্জাটা প্রাপ্য দক্ষিণ আফ্রিকারই।