এপ্রিল ১০, ২০২২ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
শুরু হয়েছে গরমের মৌসুম। তাপমাত্রার এই ব্যাপক তারতম্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রথম শিকার হয় শিশুরা। বড়দের মতো আবহাওয়ার দ্রুত তারতম্যের সঙ্গে শিশুরা নিজেকে মানিয়ে নিতে অনেক সময়ই পারে না। গ্রীষ্মকালের গরম সবার জন্যই কষ্টকর। তবে শিশুরা খুব বেশি স্পর্শকাতর বলে অনেকে গরম আবহাওয়ায় সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সময় শিশুদের জন্য বেশি কষ্টকর ও অসহনীয়। ফলে জ্বর, পেট খারাপ, সর্দি, কাশিসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। এ জন্যই এ গরমে শিশুর দরকার বাড়তি যত্ন। বিস্তারিত লিখেছেন- অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন
গরমে শিশুরা ভাইরাল জ্বর, বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাসহ নিউমোনিয়ায় ভুগতে পারে। এ সময় জলবসন্ত বা চিকেনপক্সসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগও বেশি হয়। গরমে শিশুর পেট খারাপ হওয়ার শঙ্কাটাও বেশি থাকে। ছয় মাস বয়সি শিশুদের জন্য মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে পানি ও অন্যান্য খাবার দিতে হবে। শিশু মাত্রই যত্নের দরকার প্রতি মুহূর্তেই। তা হোক শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষাকাল। তীব্র গরমে নানা স্বাস্থ্য জটিলতার মুখোমুখি হয় শিশুরা। তাই বাবা-মার উচিত সব সময় তাদের যত্নের বিষয়ে সচেতন থাকা। এ সময়ে শিশুদের নানা অসুখ-বিসুখ হতে পারে।
জ্বর
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রাই (>৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হলো জ্বর। জ্বর কোনো রোগ নয়, শরীরের কোনো অসুস্থতা বা সংক্রমণের লক্ষণ অর্থাৎ রোগের উপসর্গ হলো জ্বর। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের জ্বর হতে পারে। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গি, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, নিউমোনিয়া, হাম এবং প্রস্রাবের সংক্রমণ ইত্যাদি।
জ্বরের সাধারণ চিকিৎসা
জ্বর কমানোর জন্য প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ খাওয়াতে হবে। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক লাগে না। শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে ৩-৪ দিনের মধ্যে শিশুর জ্বর, সর্দি-কাশি না কমলে এবং জ্বরের সঙ্গে যদি শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গা মোছানো বা স্পঞ্জিং
জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে কুসুম গরম পানি দিয়ে স্পঞ্জিং করা উচিত। খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। পুরো শরীর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং শিশুরা খুব ভালো বোধ করে।
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
গরমের সময় সাধারণত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা বেশি হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার বা এর বেশি অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হলে তাকে ডায়রিয়া বলে। তবে স্বাভাবিক পায়খানা যদি তিনবার বা তার বেশি হয়, তা কিন্তু ডায়রিয়া নয়। যে শিশুরা বুকের দুধ পান করে, তারা যদি বারবার নরম পায়খানা করে, সেটি ডায়রিয়া নয়। ডায়রিয়ায় মলের চেয়ে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। পাতলা পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত মিশ্রিত থাকে, সেটি আমাশয়। ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে যায়। তাই ডায়রিয়া হলে পানির ঘাটতি বা পানিশূন্যতা দেখা যায়। মনে রাখতে হবে, শিশু যেন পানিশূন্যতায় না ভোগে। তার প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক আছে কি না, লক্ষ রাখতে হবে। শিশুর ডায়রিয়া হলে তাকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এ সময় কোনো অবস্থাতেই মায়ের বুকের দুধ বন্ধ করা যাবে না। ছয় মাস বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধের সঙ্গে পানি ও অন্যান্য খাবারও দিতে হবে। একইসঙ্গে তাকে তরল খাবারও দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুর পায়খানা স্বাভাবিক না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এ নিয়ম মেনে চলতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রস্রাবের পরিমাণ যেন স্বাভাবিক থাকে। শিশুর পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত যায় তবে অবহেলা না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পানিশূন্যতায় করণীয়
স্বাভাবিক পানিশূন্যতার রোগীরা বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
দুই বছরের কম বয়সি শিশুর ক্ষেত্রে-
* প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ৫০-১০০ মিলিলিটার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
* যেসব শিশু বুকের দুধ খায়, তাদের ক্ষেত্রে স্যালাইনের পাশাপাশি বুকের দুধ দিতে হবে।
* একসঙ্গে পুরো স্যালাইন খেতে না পারলে অল্প অল্প করে স্যালাইন দিতে হবে।
২ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে-
* ১০০-২০০ মিলিলিটার (১-২ কাপ) স্যালাইন খাওয়াতে হবে প্রতিবার পায়খানার পর।
১০ বছর বা এর বেশি বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে-
* যতটুকু খেতে চায় সেই পরিমাণ খাওয়াতে হবে। সঙ্গে স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে।
* যদি বমি করে, ১০ মিনিট অপেক্ষা করে আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
* ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত স্যালাইনের পাশাপাশি অন্যান্য পানীয়ও দিতে হবে।
এ ছাড়া গরমে শিশুরা অত্যধিক ঘামে। এ ঘামের কারণেও শিশুর শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে শিশুর পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ সময়টায় শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাওয়ানো দরকার।
ঠান্ডা বা সর্দি কাশি এবং নিউমোনিয়া
গরমে শিশুদের ঠান্ডার সমস্যাটাও বেশি হতে দেখা যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশু ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর মুছে দিয়ে কাপড় বদলে দিতে হবে। গরমে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। পরিষ্কার রাখতে হবে শরীর ও পরিবেশ। শিশুদের সংক্রমণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ও নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট নাও হতে পারে। শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ হলো-
* জ্বর
* দ্রুত, ভারী ও ঘনঘন শ্বাসপ্রশ্বাস
* শ্বাসের সঙ্গে শো শো শব্দ
* বুকের পাঁজর বা খাঁচা ডেবে যাওয়া
* খেতে না পারা বা খাওয়ানোতে অসুবিধা হওয়া
* দুর্বল, ক্লান্তি বা ঝিমুনি ভাব
মনে রাখবেন, বাচ্চার বয়স যদি তিন মাসের কম হয়, বাচ্চা যদি একেবারে খাওয়া ছেড়ে দেয়, কিংবা শ্বাস নেওয়ার গতি ২ মাসের কম বয়সি শিশুর মিনিটে ৬০ বার, ২ মাস থেকে ১ বছরের পর্যন্ত বাচ্চার প্রতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুর মিনিটে ৪০ বারের বেশি হলে, শ্বাসনেয়ার সময় বুকের পাঁজর দেবে যায় কিংবা বাচ্চার ঠোঁট, জিহ্বা নীল হয়ে গেলে অবশ্যই জরুরিভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। কারণ এসবই মারাত্মক নিউমোনিয়া বা মারাত্মক রোগের লক্ষণ। যদি শ্বাসকষ্ট হয় বা ঠোঁট, জিহ্বা নীলাভ বর্ণ ধারণ করে তবে জরুরিভাবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
জলবসন্ত বা চিকেন পক্স
এ সময়টায় শিশুদের জলবসন্ত হয়ে থাকে। এটা সাধারণত ১-৫ বছরের শিশুদের বেশি হয়। তবে চিকেন পক্সের টিকা নেওয়া থাকলে রোগটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। এ অসুখের সময় শিশুর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাকে নরম হালকা সুতি কাপড় পরাতে হবে। তরল বা নরম জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। দরকার বেশি করে পানি পান। এর সঙ্গে অবশ্যই মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
ত্বকের র্যাশ, ফুসকুরি ও ঘামাচি
শিশুদের গরমকালে এ সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। সাধারণত ঘামাচি বা চামড়ার ওপরে লাল দানার মতো ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার জামা পরাতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গাগুলোয় বেবি পাউডার লাগাতে পারেন। এতে চুলকানি কিছুটা কমে যাবে। প্রতিবার কাপড় বদলানোর সময় শিশুকে নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পাউডার লাগিয়ে দিতে হবে। গরমের সময় বেশিক্ষণ ডায়াপার না পরিয়ে রাখাই ভালো। অনেক সময় র্যাশ বেশি হয়ে গেলে ঘা হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘামাচি
এ সময়টায় শিশুর শরীরে ঘামাচি ওঠার প্রবণতা থাকে। তাই শিশুকে প্রতিদিন গোসল করিয়ে পরিষ্কার সুতির পোশাক পরাতে হবে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে গরমে শিশুর ঠান্ডা লাগে বেশি। ঘেমে গেলে দ্রুত শরীর মুছে দিয়ে কাপড় বদলানো উচিত। ঘামাচির জায়গায় শিশুদের উপযোগী পাউডার ব্যবহার করতে হবে। পাউডার লাগানোর আগে শিশুর শরীর নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন।
ডায়াপার র্যাশ
গরমে শিশুকে বেশিক্ষণ ডায়াপার না পরিয়ে রাখাই ভালো। অনেক সময় ডায়াপায়ের কারণে ত্বকে ফুসকুরি হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, ভেজা ডায়াপার যেন শিশুর বেশিক্ষণ পরিয়ে না রাখা হয়। ডায়াপার নষ্ট হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে নতুন ডায়াপার পরাতে হবে।
চুলের যত্ন
গরমে শিশুর চুলেরও যত্ন নেওয় উচিত। গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। ধুলাবালু লেগে ঘামে ভিজা চুল জট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার না করলে মাথার ত্বকে খুশকি, ঘামাচিসহ নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। গরমে শিশুর চুল ছেঁটে ছোট করে কেটে দেওয়া ভালো। এক বছর বা তার কম বয়সের শিশুর মাথা কামিয়ে বা ন্যাড়া করে দেওয়া যায়। বড় চুল হলে নিয়মিত যত্ন নিন। গোসল করার পর চুল ভালোভাবে মুছে দিয়ে আঁচড়ে দিন চিরুনি দিয়ে। এরপর চুল শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে বেঁধে দিন। চুল ধোয়ার জন্য শিশুদের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক হয়ে বা মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে পারে। হঠাৎ করে শিশু অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। তীব্র পানিশূন্যতা হলে, রক্তে সুগার বা চিনির পরিমাণ কমে গেলে বা ব্লাড পেশার কমে গেলে শিশু অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
* প্রথমেই রোগীকে চিত করে শোয়াতে হবে। সম্ভব হলে একদিকে কাত করে দিতে হবে, যাতে মুখে, গলায় যে লালা বা নিঃসরণ আছে, তা বেরিয়ে আসতে পারে।
* শোয়ানোর পর দুই পায়ের দিক মাথা থেকে ১২ ইঞ্চি উঁচু করে রাখতে হবে, যাতে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ ও চলাচল ঠিক থাকে ও বাড়ে।
* টাইট পোশাক পরে থাকলে, বুকের, গলার আর কোমরের পোশাক খুলে অথবা ঢিলা করে দিতে হবে।
* ঘাড়ের নিচে উঁচু কিছু রেখে, মাথাটা নিচে নামিয়ে, থুতনি উপরে রাখতে হবে, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলে বাধা তৈরি না হয়।
* যদি ৩ মিনিটের মধ্যে জ্ঞান না ফেরে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
প্রয়োজনীয় উপদেশ
* গরমে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং ধুলাবালি থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
* বাইরে বের হলে শিশুর জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে।
* ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিতে হবে। শরীরের ঘাম শুকিয়ে গেলে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে।
* যতটা সম্ভব শিশুকে সদ্য তৈরি করা খাবার ও তাজা ফলমূল খাওয়াতে হবে।
* ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন র্যাশ জাতীয় সমস্যা না হয়।
* প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে, যেন প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।
৭. সদ্যজাত শিশুদের সবসময় ঢেকে রাখতে হবে, যেন শরীর উষ্ণ থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘেমে না যায়।
* গরমের সময় মশা, মাছি, পিঁপড়া ইত্যাদি পোকামাকড়ের প্রকোপ বেড়ে যায়। এগুলো শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ঘর পোকামাকড় মুক্ত রাখতে হবে।
* গরমের সময় প্রচুর মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। মৌসুমি ফল শিশুকে খেতে দিন। জুস করে দিতে পারেন। এতে শিশুর ভিটামিনের চাহিদা মিটবে ও শিশুর পুষ্টিও পূরণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে।
লেখক : শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সভাপতি, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি