এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানো উচিত?

এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানো উচিত?

লাইফস্টাইল স্পেশাল

মে ৩, ২০২৪ ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ জারি রয়েছে। বেলা বাড়তে থাকলেই বইতে শুরু করছে লু বা গরম হাওয়া। এই পরিস্থিতিতে একটু আরাম পাওয়ার জন্য পাখা চালালেও মিলছে না স্বস্তি। কারণ ফ্যান থেকেও বেরোচ্ছে গরম হাওয়া। এমতাবস্থায় একমাত্র স্বস্তি দিতে পারে এসির ঠান্ডা হাওয়া।

শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই লাগানো হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি। তবে এসি চালানোর সময় অনেকেই সিলিং ফ্যান বন্ধ রাখেন। অর্থাৎ এসি আর সিলিং ফ্যান তারা একসঙ্গে চালান না। তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা!

আসলে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, এসি আর সিলিং ফ্যান একসঙ্গে চালালে ঘরের ঠান্ডা হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। আজ সেই ভুল ধারণাই ভেঙে দেওয়া যাক। গরম লাগলে সকলেই প্রথমে এসি অন করেন। আর তার সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালিয়ে দিলে ঘর কিন্তু তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে দ্রুত স্বস্তি মেলে। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের বিলও অনেকাংশে কমে যায়। বিষয়টা তাহলে বুঝিয়ে বলা যাক।

সাধারণ মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের সময় আশপাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে আমাদের দেহ ঘাম নির্গত করে ঠান্ডা থাকে। আর্দ্রতার মাত্রা কম থাকলেই শুধু এটা হয়ে থাকে। কিন্তু আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঘাম সেভাবে কাজ করে না। ফলে আমরা অস্বস্তিতে পড়ি। কারণ বাতাসে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকার ফলে আমাদের দেহ থেকে যে জল নির্গত হয়, তা শোষণ করতে দেরি হয়, কিংবা তা শোষণ করতে পারে না। আর এখানেই সাহায্য করে ফ্যান।

যদিও ফ্যান আশপাশটা ঠান্ডা করতে পারে না। তবুও ফ্যান থেকে নির্গত যে বাতাস এটি ঠেলে দেয়, তা ত্বক থেকে গরম বাতাস অপসারণ করতে এবং ঘামের বাষ্পীভবনে সহায়তা করে। এমনকি পরিস্থিতি আরামদায়ক করে তোলে।

একইভাবে এসির সঙ্গে একটি সিলিং ফ্যান ব্যবহার করলে ঘরের গরম বাতাস বেরিয়ে যাবে। আর এসি-র কারণে চারপাশের পরিবেশও দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাবে। এর জন্য অবশ্য একটা ট্রিক অবলম্বন করতে হবে। সেটা হল এসি-র তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা উচিত। এই তাপমাত্রায় রাখা এসি এবং সিলিং ফ্যান একসঙ্গে কাজ করলে ঘরের তাপমাত্রা হবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সেট করা এসি-র মতো। এছাড়াও এসি-র সঙ্গে ফ্যান ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিলও প্রায় ১২-২০ শতাংশ সাশ্রয় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *