সুনির্দিষ্ট কাজের উদ্দেশে ডিজাইন করা একটি পাখা লাগানো যন্ত্র। যাকে দূরবর্তী একটি রিমোট কন্ট্রোলের দ্বারা আকাশে উড্ডয়ন এবং অবনমন করানোর প্রকৌশলকে ড্রোন প্রযুক্তি বলা হয়। এ প্রযুক্তি প্রথমদিকে সামরিক উদ্দেশে গবেষণা করা হলেও, পরবর্তীতে আরও অসংখ্য ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতে ড্রোনে করেই খাবার পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে।
বিশ্বে ড্রোন নিয়ে চলছে উদ্ভাবনী গবেষণা। সঙ্গে বাড়ছে এই শিল্পের বাজারদর। হচ্ছে ড্রোনের নানামুখী ব্যবহার। তীব্র যানজটে খাবার ও মুদিখানার দ্রব্য আরও সহজে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে এবার ড্রোন ব্যবহার করতে চলেছে একটি জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থা।
আপাতত চারটি ড্রোন নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিল্লি, বেঙ্গালুরুর মতো একাধিক শহরে সংস্থাটি এই পরিষেবা চালু করছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রাথমিক ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস পরিবহণে গতি আনতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন ব্যবহার করতে চলেছে সংস্থাটি। তবে ড্রোন এখনই সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাবে না।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আপাতত দোকান থেকে ‘কমন কাস্টমার পয়েন্ট’ নামক একটি স্থানে খাবার ও মুদিখানার দ্রব্য পৌঁছে দেবে ড্রোন। সেখান থেকে জিনিসগুলি সংগ্রহ করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবেন ডেলিভারি পার্টনাররা।
যানজট এড়িয়ে আরও দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হবে বলেই বিশ্বাস ফুড ডেলিভারি সংস্থার। ভারতে সর্বপ্রথম বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে এই পরিষেবা।