ইউক্রেনের লভিভসহ মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় নতুন করে অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। কারখানাটি থেকে শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিতে না নিতেই ইউক্রেনীয় সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু হয়েছে। ইউক্রেনে একদিনেই চার শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ক্রেমলিন।
মঙ্গলবার (৩ মে) রাশিয়ার দফায় দফায় গোলা হামলায় কেঁপে ওঠে পোল্যান্ড-ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী লভিভ শহর। এদিন মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবশেষ ঘাঁটি আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় নতুন করে অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। খবর গার্ডিয়ানের।
কারখানাটি থেকে শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিতে না নিতেই ইউক্রেনীয় সেনাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এখনো বাঙ্কার ও বিভিন্ন টানেলের নিচে অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক অবরুদ্ধ রয়েছে।
এর আগে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের তৎপরতায় আজভস্থাল থেকে নারী ও শিশুসহ শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় তারা তাদের অবরুদ্ধ সময়ের দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কে ছিলাম। দিন আর রাত নেই, একের পর এক গোলা হামলা চলছিল।
মারিউপোলের পাশাপাশি ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলেও গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, গেল একদিনেই ইউক্রেনজুড়ে চার শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে গোলা হামলা চালিয়েছে তারা। এর মধ্যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অস্ত্রের ভাণ্ডার, সেনাঘাঁটি ও দুটি তেলের গুদাম রয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (৩ মে) ইউক্রেনের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে দেশটিকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিয়েভের পাশে দাঁড়ানোয় যুক্তরাজ্যের প্রসংশা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটির নৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যুদ্ধে জয়ী হওয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি।