মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সহায়তার প্রাথমিক অর্ধ ডজন চালান ইউক্রেনে পৌঁছেছে। গত ১৬ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদিত ৮০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পাঠানো চালানের মধ্যে রয়েছে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভলিন, স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল, শরীরবর্ম, চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য উপাদান।
কিরবি বলেন, ৮০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজের পুরোটাই দুই সপ্তাহের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। এতে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার, ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন, সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যদিও ইউক্রেনের সেনারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া অ্যান্টি ট্যাঙ্ক লঞ্চার এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সহায়তা ব্যবহার করছে। ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। এ পর্যন্ত মার্কিন জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত শত রাশিয়ান সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।
এদিকে, কয়েক সপ্তাহ দখলের পর বৃহস্পতিবার রুশ সেনারা ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (এনপিপি) নিয়ন্ত্রণ ছেড়েছে। চলে যাওয়ার সময় ইউক্রেনের সেনাদের জিম্মি করে নিয়ে গেছে রুশ বাহিনী। তবে ঠিক কতজন ইউক্রেনীয় সেনাকে তারা ধরে নিয়ে গেছে, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা এনারগোটম।
সম্প্রতি রাশিয়া বলেছে, উত্তর ইউক্রেনে তাদের কার্যক্রম কমিয়ে দেবে এবং পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে তারা তৎপরতা চালাবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দক্ষিণ এবং ডনবাস অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে মারিওপোল শহরের কাছে রাশিয়া বাহিনী গড়ে তুলেছে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সামনে আরও যুদ্ধ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, সামনে যুদ্ধ হবে। আমরা যা চাই তা পেতে আমাদের এখনও কঠিন পথে যেতে হবে।