এপ্রিল ২৯, ২০২২ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তায় তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিতে কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় হামলা করতে যাচ্ছে না বলে তিনি জোর দিয়ে দাবি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই চুক্তির অনুমোদন দেওয়া মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এতে রাশিয়ার অভিযান থেকে ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবে দুই হাজার কোটি ডলার সামরিক, সাড়ে ৮০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক ও ৩০০ কোটি ডলার মানবিক সহায়তার কথা বলা হয়েছে।-খবর বিবিসির
বাইডেন বলেন, এটি সস্তা কোনো বিষয় না। যদি আগ্রাসনকে চলতে দিই, তবে আমাদের অনেক বেশি খেসারত দিতে হবে।
এরআগেও রাশিয়ার জন্য সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার তা অনেক বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রস্তাবটি ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যতো সামরিক সহায়তা দিয়েছে, তাতে সেখানে রাশিয়ার মোতায়েন করা প্রতিটি ট্যাংকের বিপরীতে ১০টি ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার শামিল।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা বক্তব্য দিলেও বাইডেন বলছেন, রাশিয়ায় হামলা চালাতে যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে কিয়েভ যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সে জন্যই এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা এই মহাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, ইউক্রেনকে বিপুল অর্থ সহায়তার অনুমোদন দিতে কংগ্রেসকে অনুরোধ করেন বাইডেন। আগের সামরিক অস্ত্র ও মানবিক সহায়তার চেয়ে তা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। বাইডেন দেখাতে চেয়েছেন, সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অস্পষ্ট হুমকিতেও তিনি অপ্রতিরোধ্য।
ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করা দেশগুলোতে প্রতিশোধমূলক হামলার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বাইডেন। তিনি বলেন, রাশিয়া তাদের বেপরোয়া অবস্থান দেখিয়েছে। তারা যা করতে চেয়েছিল, তাতে শোচনীয় ব্যর্থতার অনুভব থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যেও এই বিপুল অর্থ কেন ইউক্রেনকে দেওয়া হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি সস্তা কিছু না, কিন্তু কিছুই না করলে তা আরও ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। তাতে আমেরিকানদের আরও বেশি মূল্য দিতে হবে।