কয়েক সপ্তাহ দখলের পর রুশ সেনারা অবশেষে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (এনপিপি) নিয়ন্ত্রণ ছেড়েছে। কিয়েভের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা বলেছে, চেরনোবিলের কর্মীরা জানিয়েছেন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূখণ্ডে আর কোনো বাহিরাগত নেই। এর আগে সংস্থটি জানিয়েছিল, ছোট একটি বাহিনী রেখে রুশ সেনারা বেলারুশ সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছিল।
এনারগোটম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে দখলদাররা চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা দেয়।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার কিছু সেনা চেরনোবিলের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে দূষিত পদার্থ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বেলারুশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও তাদের কাছে খবর রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত না।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনাদের ধারণা ছিল না যে তারা একটি বিকিরণ অঞ্চলে রয়েছে। যদিও রুশ সেনাবাহিনী বলেছে, কেন্দ্রের বিকিরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পর এটি স্বাভাবিক সীমার মধ্যে ছিল।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি এজেন্সি (আইএইএ)। তবে সংস্থটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে রুশ বাহিনী চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেছে। পাশাপাশি সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে মস্কো।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তাদের প্রথম সহায়তা পাঠাবে।
রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেন অভিযানের শুরুতে চেরনোবিল দখলে নেয়। তবে সম্প্রতি রাশিয়া বলেছে, উত্তর ইউক্রেনে তাদের কার্যক্রম কমিয়ে দেবে এবং পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে তারা তৎপরতা চালাবে। আর চেরনোবিল কিয়েভের উত্তরে অবস্থিত।