মোঃ আব্দুল হান্নান(নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
শালীসে মাছ ধরার জাল চুরির স্বাক্ষী দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চা দোকানের ভেতরে দুই ভাইকে মারপিট,বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর,লুটপাট ও ঘরের সুকেজের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামে।সরেজমিন এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,হায়ধর আলীর ছেলে সবুজ মিয়া প্রতিবেশী মনোহর পুর গ্রামের জালাল মিয়ার মাছ জাল নদী থেকে চুরি করে নেয়ার সময় টেকানগর গ্রামের মৃত অলি মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক দেখে ফেলে। এই নিয়ে বিকেলে টেকানগর গ্রামে এক শালীস বসে।শালীসে মোজাম্মেল হক সত্য স্বাক্ষী দেয়া গ্রামের মুরুব্বি হায়দর আলী ও দানু মিয়ার নির্দেশে হায়দর আলীর ছেলে সবুজ মিয়া,ইসরাইলের ছেলে সুমন মিয়া,মুগবুল মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়া প্রকাশ্যে শালীসেই উপস্থিত সর্দার মাতাব্বরগণের সামনেই মোজাম্মেলকে প্রাণনাশের হুমকি।
পরে মোজাম্মেল ও তার ভাই সেলিম আব্দুল হকের চায়ের দোকানে চা খেতে বসা মাত্রই সবুজ,সুমন,অহিদ মিলে আরো২০/২৫ জনকে সাথে নিয়ে দেশী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে চা দোকানের ভেতরে হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে দেয়। এ সময় প্রাণ রক্ষার্তে মোজাম্মেল ও সেলিম দৌড়ে এসে তাদের ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখে।এ সময় উল্লেখিত লোকজন ধারালো দা,লাঠি,কুচ,বল্লম ও লোহার রড দিয়ে বাইড়াইয়া ও কুপাইয়া তাদের ঘর দর ভাংচুর করে।সেলিমের ঘরের ভেতরে সুকেজে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়।তাছাড়াও চারটি ঘর ভেঙ্গে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্নালংকার ও বিভিন্ন আসবাব পত্র নিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা এসে তাদের রক্ষা করে।পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।ওই ঘটনায় আজ মোজাম্মেল বাদী হয়ে ৩০ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দালিখ করে।নাসিরনগর থানা পুলিশের এস আই ও বিট অফিসার সৈয়দ সারোয়ার আহম্মেদ বলেন বিষয়টি বিচারের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।