ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ
মাহফুজুর রহমান সোহাগ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
স্থানীয় তিন মেম্বার কতৃর্ক চুরির অপবাদ দিয়ে বাবাসহ মোশারফ (১৪) নামে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর কে বেেঁধ নিযার্তন করার পর কৌশলে বাবাকেও ডেকে এনে মারধর এবং এই ঘটনায় জিম্মি করে মোশারফের চাচা লাল চানের কাছ থেকে জমির চুক্তিনামা আদায় করার মত ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনার—প্রতিবাদে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়বিলের ভটপুর বাজারে ভুক্তভোগী মোশারফ ও তার পরিবার আজ বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে এক সংবাদ সস্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার সাড়ে ১১ টার সময় ভটপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল এর ঘর থেকে এক লাখ ছাব্বিশ হাজার পাচঁশ টাকা চুড়ি হয় বলে কৃষক আমিনুল দাবী করে। পরে চুড়ি যাওয়া টাকা প্রতিবেশি ও দিন মজুর চান মিয়া ও তার ছেলে মোশারফ সন্দেহতীতভাবে নিয়েছে বলে নয়াবিল ৯ নং ওয়ার্ড সিধুলী গ্রামের মেম্বার হাবিবুর রহমান কে জানায় কৃষক আমিনুল ইসলাম। পরে এই ঘটনায় ৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে কিশোর মোশারফকে ধরে নিয়ে যায় সিধুলী গ্রামে জয়নালের বাড়িতে। সেখানে মোশারফকে বেঁধে নিযার্তন করা হয়। এক পযার্য়ে নিযার্তনে হাতের আঙ্গুল নখের নিচ দিয়ে সুই ঢুকানোর ভয় দেথিয়ে চুড়ির টাকা নিয়েছে বলে জোড় করে স্বীকাররোক্তি নেওয়া হয়।
ওই স্বীকাররোক্তি কাজে লাগাতে মোবাইল ফোনে ধারন করা হয়। এরপর আরেক ইউপি সদস্য মোজা মিয়া ও রতি মেম্বারকে ডেকে আনা হয়। এদিকে কিশোর পিতা চান মিয়াকে বাড়ী থেকে তুলে এনে ব্যাপক মারধর করে ইউপি সদস্য মোজা মিয়া। এরপর পিতা পূত্র কে পুলিশে দিবে ভয় দেখিয়ে কিশোরের চাচা লাল চান কে ডেকে আনা হয় ওই বাড়ীতে। এবস্থায় চুড়ি যাওয়া টাকার জন্য ভাই ভাতিজাকে পুলিশের কাছে দেওয়া হবে এই ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাচা লাল চানের নিকট চাপ সৃষ্টি করা হয়। পরে বাধ্য হয়ে সম্প্র্রতি দুই লাখ টাকা চুক্তিনামা করে কেনা জমির গ্রাম্য দলিল ইউপি সদস্যদের জিম্মায় রেখে ভাই ভাতিজাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে চাচা লাল চান।
পরে ১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার চাচা লাল চান বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ ৭ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে নালিতাবাড়ী থানাকে এফআইআর করার জন্য নির্দেশ দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।