সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
মুরাদ শাহ জাবাল, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর অটোচাল রফিকুল ইসলাম হত্যার বিচার চায় তার পরিবার। রফিকুল ইসলাম উপজেলাব কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরন দুধনই গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে। ১২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয় অটোচালক রফিকুল ইসলাম (১৫) বহু খুঁজা খুঁজির পরেও রফিকুলের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছিল না।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ সীমান্তবর্তী সমেশ্চুড়া পাহাড় থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, ঝিনাইগাতি উপজেলার গুরুচরণ দুধনই গ্রামের জহুরুলের পনেরো বছর বয়সী কিশোর ছেলে অটোচালক রফিক প্রতিদিনের মতো গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল নয়টার দিকে অটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে বাড়ি না ফেরায় গতকাল মঙ্গলবার তার পিতা জহুরুল ঝিনাইগাতি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বুধবার লোকমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে রফিকের অটো বাজিতখিলা এলাকায় সন্ধান পান।
এদিকে নিখোঁজ রফিকের স্বজনেরা ঝিনাইগাতী থেকে নালিতাবাড়ীর দিকে পাহাড়ি এলাকা সন্ধান চালিয়ে আসার একপর্যায়ে দুপুরে সমেশ্চুড়া পাহাড়ের এলাকায় রফিকের মরদেহের সন্ধান পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই মরদেহ উদ্ধার করে। এব্যাপারে জহুরল হক বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত ৬ দিনেও গ্রেফতার হয়নি রফিকুলের হত্যাকারি। এদিকে আজও কান্না থামেনি রফিকুল ইসলামের পরিবারে। রফিকুলের মা অজুফা বেগম তার ছেলে হত্যাকারিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, রফিকুল ইসলাম হত্যাকারিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশী অব্যাহত রয়েছে।