ইউরোপিয়ান ট্যুর কুজো ক্লাসিক খেলতে শুক্রবার (১৫ জুলাই) লিভারপুলে যাচ্ছেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। নিজের সেরা ফর্ম ফিরে পেতে ৩৮ বছর বয়সেও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশসেরা এই গলফার। করোনার পর চলতি বছরই ব্যস্ততা বেশি তার। খেলবেন নয়টির বেশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। টোকিও অলিম্পিক গেমসে খেলতে পারেননি, তবে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে তিনশ’র মধ্যে থেকে খেলতে চান ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে।
বাংলাদেশের গলফ কোর্সের রাজা সিদ্দিকুর রহমান অনেক দিন ধরে আছেন খবরের বাইরে। সময়ের পরিক্রমায় আগের পারফরমেন্সটা নেই। কিন্তু সিদ্দিক ঠিকই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিজের সেরা ফর্মে ফিরতে।
দেশসেরা গলফারের গন্তব্য ইংল্যান্ডের লিভারপুল। সেখানে খেলবেন ইউরোপিয়ান ট্যুর কুজো ক্লাসিকে। শুধু এ ইভেন্টই নয়, করোনার পর তার ব্যস্ততম বছর এটাই। সেগুলোর জন্য কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুশীলন চালিয়ে গেছেন সিদ্দিক।
বাংলাদেশের গলফার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বছর আমি ৯টা টুর্নামেন্ট খেলেছি। এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনেক আঁটসাঁট সূচি রয়েছে। তার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে লিভারপুলে একটা টুর্নামেন্ট আছে। লিভারপুল ছাড়াও এই বছর আমার ছয়টা টুর্নামেন্ট আছে।’
২০১৩ সালের পর বড় কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা হয়নি সিদ্দিকের। ২০১৬’তে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছিলেন রিও অলিম্পিক্সে। একসময় ছিলেন বিশ্বের সেরা ১৫০ গলফারের একজন। বয়স পেরিয়েছে ৩৮। কিন্তু ফুরিয়ে যেতে চান না এখনই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছেন গত বছর।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘২০২১ সালে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আমি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেনিং নিয়েছি। এ ছাড়া সেখানে পিজিএ ট্যুরের জন্য কোয়ালিফাইও করেছি। তবে দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে বাদ পরেছিলাম।’
তবে সিদ্দিকের আফসোস, তার পর আর কোনো বাংলাদেশি গলফ মাঠে ঝড় তুলতে পারেননি। তার মতে, সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারছেন না নবীনরা।
সিদ্দিক বলেন, ‘আমি আমার পারফরমেন্সটা ভালো করতে চাই। পরের জেনারেশনের খেলোয়াড়রা আমাকে দেখে যেন অনুপ্রাণিত হয়। গলফ খেলোয়াড় বানাতে একাডেমির কোচরাই যথেষ্ট। সেটার জন্য আমাকে যে কিছু করতে হবে তা আমি বিশ্বাস করি না।’
টোকিও অলিম্পিকস খেলতে পারেননি সিদ্দিক। তবে ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ৩০০-এর মধ্যে ঢুকতে পারলে খেলতে পারবেন ২০২৪ এর প্যারিস অলিম্পিক গেমসে।