মুরাদ শাহ জাবাল, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নুনখোলা পাকারাস্তা থেকে নওকুচি সীমান্তের বানাইপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তা সংস্কার-সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে ১২ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের নুনখোলা খেকে কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি সীমান্তের বানাইপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাচা রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে ডেফলাই, গান্দিগাও, রাংটিয়া, শালচুড়া নওকুচি, হালচাটি, গজনী, ফুলহাড়ি, ডাকাবর, নুনখোলা, ভালুকা ও ঝিনাইগাতী সদর গ্রামের শতশত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরেও এই কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার-সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
নওকুচি ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন বলেন, এ রাস্তার চারপাশে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ২টি, কিন্ডারগার্টেন ৫টি ও মাদ্রাসা রয়েছে ৪টি। শুস্ক মৌসুমে যেমন তেমন হলেও বর্ষা মৌসুমে কাদা পানিতে ভিজে স্কুল কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ সময় শিক্ষার্থীসহ শতশত পথচারীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ পথে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে যাতায়াতও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
ডেফলাই গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া, শালু মিয়া, কৃষানী ফাতেমা বেগম, নওকুচি গ্রামের কফিল উদ্দিন মন্ডলসহ আরো অনেকেই বলেন, এ রাস্তার দু’পাশে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে ও গবাদিপশু পারাপারে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
তারা বলেন, নির্বাচনের সময় এলে প্রার্থীরা রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে শুধু আমাদের কাছে ভোট নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর আমাদের খোঁজ-খবর নেন না। তারা অনতিবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের দাবি জানান।
নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান ও কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিউর রহমান বলেন, রাস্তাটি সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের দাবি দীর্ঘদিনের। কৃষির উন্নয়ন ও পথচারীদের দুর্ভোগ লাগবে রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এলজিইডির ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, শেরপুর উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তাটির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলে রাস্তাটি পাকা করা হবে।