মাছ-মুরগি আগের দামেই, এখনও গরম কাঁচাবাজার

জাতীয় স্পেশাল স্লাইড

আগস্ট ১৮, ২০২৪ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে এখনো মিলছে না স্বস্তি। বাজারে এক পণ্যের দাম সহনশীল থাকলে, বাড়ছে অন্যটি। মাছ, মুরগি আগের দামে বিক্রি হলেও গরম কাঁচাবাজার। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। নতুন সরকারের কাছে বাজারে স্বস্তি ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তারা।

রোববার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভোক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বাজার তদারকির কারণে অনেক পণ্যের দাম কমে গিয়েছিল। তবে কোনো কোনোটির দাম আবার বেড়ে গিয়েছে। আশা করা যায়, এ সরকার ধীরে ধীরে বাজারে নিত্যপণ্যের দামে স্থিতিশীলতা আনবে। তাদের সময় দিতে হবে।

বাজারে একেবারে লাগামহীন কাঁচা মরিচ। সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আজ কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বেগুন প্রতি কেজি মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা, পটল, ধুন্দল, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা এবং গাজরের কেজি ২০০ টাকা। লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ডিম ডজন প্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংসের কেজি প্রতি ১ হাজার টাকা এবং খাসির থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায়, আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে প্রতি কেজি পাঙাশ সাইজভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগের মতো উচ্চ দরেই বিক্রি হচ্ছে চাল, আলু ও পেঁয়াজ। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মিনিকেট ৭২ টাকা, আটাশ চাল ৫৮ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকায়, লাল বোরোধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলার চাল ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১১০-১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা ও আলু ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *