ডিসেম্বর ১৪, ২০২২ ১:১৮ অপরাহ্ণ
স্ট্রিট ফুড মানেই জমিয়ে খাওয়া। ঢাকা থেকে দিল্লি—স্ট্রিট ফুডের ভ্যারাইটি প্রতিটি শহরেই রয়েছে। এই টেস্টি স্ট্রিট ফুডের লম্বা তালিকায় চাইনিজ খাবারের পাশাপাশি, পানিপুরি কিংবা বাংলার প্রাণের ফুচকা মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। বিশেষ করে ভারতের রাজধানী দিল্লির কথা যদি ধরা যায়, তবে সেখানকার গোলগাপ্পা প্রাণ ভরিয়ে দেয়। আবার বাঙালিদের সাধের ফুচকাও বা কম যায় কিসে।
আলুর পুর মাখা তেঁতুল জলের টকে মেশা সেই স্বর্গীয় স্বাদ একমাত্র দিতে পারে ফুচকাই। তা সে যে নামেই ডাকুন না কেন, ফুচকা হোক বা পানিপুরি বা গোলগাপ্পা বলুন, মন জুড়োতে পেট ভরাতে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই এখানে শহরের প্রতিটি কোণে আপনি ফুচকা বিক্রেতাদের কাছে মানুষের ভিড় দেখতে পাবেন।
লকডাউনের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষ এটিকে বেশ মিস করেছেন। করোনা কেটে যাওয়ার পরও অনলাইনে অর্ডার করে খাচ্ছেন। আর গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় এই ফুচকাকেই।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর মতে, লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে গুগল ইন্ডিয়া গোলগাপ্পা বা ফুচকার দোকানের নামের অনুসন্ধানের হার ১০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ফুচকা নিয়ে বেশ চর্চা রয়েছে।
ভারতীয় স্ট্রিট ফুডের মধ্যে মধ্যে ফুচকা মানুষের সবচেয়ে পছন্দের খাবারের তালিকার সবচেয়ে ওপরে রয়েছে। গত কয়েক বছরে গোলগাপ্পা বা ফুচকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও প্রবণতা দেখে, বড় এবং বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলোও এটিকে তাদের মেনুর একটি অংশ করে তুলেছে। যাইহোক, এই রেস্তোরাঁগুলো পানিপুরিতে তাদের নিজস্ব স্বাদ যোগ করে মানুষের মধ্যে পরিবেশন করছে। তবে ফুচকা প্রেমীদের মতে রেস্টুরেন্টে পাওয়া ফুচকার মধ্যে ফুটপাতে গোলগাপ্পার স্বাদ নেই।