না মানা হলো দাবি, না এলো কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত। এক প্রকার নিষ্ফল আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই শেষ হলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিপর্যায়ের ১২তম সম্মেলন।
যেখানে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো ঘরে ফিরছে অনেকটা শূন্য হাতেই। যদিও সম্মেলনের সময় বাড়িয়ে সদস্যদের ক্ষোভ সামাল দেয়ার ব্যর্থ এক চেষ্টাও করেছিল ডব্লিউটিও। লাভ হয়নি তাতে, বরং জেনেভায় আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ।
একদিকে কোভিডের ধাক্কা, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দুইয়ে মিলে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটা বিপর্যস্ত। চরম সংকটে বিশ্ব বাণিজ্যের উঠানে স্বস্তি ফিরবে ডব্লিউটিওর সম্মেলন থেকে, এমন আশা নিয়েই জেনেভায় এসেছিলেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীরা।
কিন্তু বড় কোনো ঘোষণা কিংবা সিদ্ধান্ত ছাড়াই জেনেভায় পর্দা নামল সম্মেলনের। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে গেল দুদিন সম্মেলনের প্রেস কনফারেন্স কয়েক দফা পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত বাতিলই করে ডব্লিউটিও। এতে চরম হতাশ স্বল্পোন্নত দেশগুলো। বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই এবারের সম্মেলন বন্দি ছিল, এমনটাই অভিযোগ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের।
ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ইস্যুতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আর বড় দেশগুলো একমত হতে না পারায় সিদ্ধান্ত শূন্য জেনেভা সম্মেলন। একরাশ হতাশা নিয়েই সুইজারল্যান্ড ছেড়েছে বহু দেশ।
এবারের সম্মেলনে প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল গভীর সমুদ্রে অবাধে মৎস্য শিকারে ভর্তুকি বন্ধ করা। কৃষিতে ভর্তুকি কমানো, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখা। যদিও পূরণ হয়নি একটিও।