‘স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার বদ্ধপরিকর’

‘স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার বদ্ধপরিকর’

জাতীয় স্লাইড

মে ৬, ২০২৩ ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন ও বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিরামহীন কাজ করছে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করে গেছে। তার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনো সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপি রাজনীতির নামে রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী আদর্শ এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করতে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন নয়, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে সরকার আইনগত বৈধতা ও স্বীকৃতি অর্জন করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সরকার ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি ঘাতকচক্র স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *