সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে যা জানালেন ব্লিঙ্কেন

সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে যা জানালেন ব্লিঙ্কেন

আন্তর্জাতিক

মে ২৩, ২০২৪ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

অনেক দিন ধরেই ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে তেল আবিব ও রিয়াদের মধ্যে স্পষ্ট মতদ্বৈধতা দেখা দেওয়ায় সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, সৌদি আরব গাজায় যুদ্ধবিরতি ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করে এবং এটি ভালো। তবে ইসরায়েল বিষয়টি এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক নয়।

এ সময় তিনি ইসরায়েলকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, দেশটিকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন চাওয়া অর্জন করার জন্য এই সুযোগের (ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেয়ার বিপরীতে সৌদি আরবের স্বীকৃতি) সদ্ব্যবহার করতে চায় কি না।

কংগ্রেসের শুনানিতে ব্লিঙ্কেন ডান ও বাম উভয়পন্থীদের কাছে সমালোচনার সম্মুখীন হন। রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বলেন, ডেমোক্র্যাট সরকার গাজার বেসামরিকদের সাহায্য করার জন্য খুব একটা কাজ করেনি।

এ সময় একজন প্রতিবাদকারী ব্লিঙ্কেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘অপরাধী’ বলে আখ্যা দেন। পরে সেই বিক্ষোভকারীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বের করে নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলেই একই পথে হাঁটবে অনেক মুসলিম দেশ। তাই সৌদি আরবও অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপে হাঁটছে। তবে ভেতরে ভেতরে নাকি সৌদি প্রশাসন চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই শুরু হয় গাজা যুদ্ধ। ফলে থমকে গেছে সব ধরনের অগ্রগতি। যদিও এর মধ্যেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। গাজার যুদ্ধের মধ্যেই একাধিকবার রিয়াদ সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে সৌদি আরব।

বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জানিয়েছে, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *