সিঁড়ি ভাঙলে হাঁফিয়ে উঠছেন? কোলেস্টেরল কমানোর পদক্ষেপ নিন

স্পেশাল স্বাস্থ্য

আগস্ট ২৮, ২০২২ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

বাইরে থেকে দেখে মনে হয় পুরোপুরি সুস্থ। অথচ জোরে হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি ভাঙলে হাঁফিয়ে উঠছেন। অবশ্য তা তো কমবেশি সবারই হয়, এমন ভেবেই নিশ্চিন্ত থাকেন অনেকে। কিন্তু বুঝতে পারেন না এই লক্ষণ রক্তে অধিক কোলেস্টেরলের জানান দেয়।

এতে ধমণীর কার্যক্ষমতা কমে আসে।
কিডনির সমস্যা হতে পারে।
হতে পারে হার্ট এ্যাটাক।

উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি তো বটেই, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হার্টে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন অসুখ। তাই খারাপ কোলেস্টেরলকে অবহেলা করলে তার ফলও খুব একটা সুখকর হয় না।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরে গেলেই বিপদ। বেশি করে শর্করা খাদ্যগ্রহণ করলে তা পরিবর্তিত হয়ে ফ্যাটে পরিণত হয়। তখন দেহকোষগুলি তখন বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি করে। এই জারিত কোলেস্টেরলের একটা বড় অংশ ধমনীর প্রাচীরে জমা হয় ও রক্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।

খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ে প্রথম থেকে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন জটিল অসুখের শিকার হতে পারেন। তবে এই লাইফস্টাইল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণও করা যায় রুটিনের কিছুটা অদলবদল ঘটিয়ে। সারা দিনের কাজে কিছু জরুরি পদক্ষেপ করা, কিছু ভুল বাদ দেওয়া এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সেরা উপায়।

একজন সুস্থ সবল মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হওয়া উচিত প্রতি ডেসিলিটারে ১৬০ মিলিগ্রামেরও কম। কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। শাক-সবজি, তরিতরকারি, ফল, তার সঙ্গে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার।

কান থেকে কোনো খাবারের প্যাকেট কেনাকাটার আগে সতর্ক হোন।  পুষ্টিগুণ দেখে নিন। কতটা ফ্যাট শুধু তা দেখলেই হবে না, কতটা ট্রান্স ফ্যাট তা-ও দেখতে হবে। ট্রান্স ফ্যাট থেকেও শরীরে জমে কোলেস্টেরল।

ওজন অনুপাতে আপনার শরীরের কতটা পানি প্রয়োজন তা জেনে নিন কোনো পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। তার পর নিয়ম মেনে সেই পরিমাণ পানি প্রতিদিন খান। আজ কম খেয়ে কাল পুষিয়ে দেব, এই  ধারণা একেবারে ভুল। শরীরের টক্সিন সরাতে পানির বিকল্প নেই।

শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইডকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ও খারাপ কোলেস্টেরলকে মোকাবিলা করতে পারে একমুঠো বাদাম।
আমন্ড, বালিতে ভাজা বাদাম মিশিয়ে ২৫ গ্রাম ওজনের মতো নিন। বাদাম শরীরে ভালো কোলেস্টেরলকে বাড়ায়।

শরীরচর্চা বাদ দেবেন না। জিম বা ব্যায়ামের সময় পেলে তো খুবই ভালো, সেটা না পেলেও অন্তত প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট একটানা জোরে হাঁটুন। এতে ওবেসিটি কমার সঙ্গে সঙ্গে কোলেস্টেরল কমে হার্টকে ভালো থাকবে।

সূত্র: হেলথলাইন.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *