সাতক্ষীরায় দুই দলিল লেখকের উপর হামলা ও টাকা ছিনতাই, থানায় মামলা

সাতক্ষীরায় দুই দলিল লেখকের উপর হামলা ও টাকা ছিনতাই, থানায় মামলা

দেশজুড়ে

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩ ৫:৪১ অপরাহ্ণ

মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না ও মো. হাফিজুর রহমানের উপর হামলা ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী দলিল লেখক।

বুধবার রাতে দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ৩৮/৯২ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ‘সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান বেয়ারাপাড়া এলাকার মো. জামাল হোসেন ও তার পিতা মোহাম্মদ আলী, কাটিয়া সরকারপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আজিজুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আজাদ হোসেন ও দলিল লেখক মো. হাফিজুর রহমানের কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে আসামীরা। এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে আসামীরা দলিল লেখক হাফিজুর রহমানকে মারপিট করে। ওই সময় দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না এ ঘটনার প্রতিবাদ করে মামলার আসামীদের রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বের করে দিলে তারা জাহাঙ্গীর আলম মুন্নাকে খুন-যখমসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিকাল ৫টার দিকে অফিসের কাজ শেষ করে দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না জমি রেজিস্ট্রির ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সামনে বাবু কফি হাউজের সামনে পৌঁছালে মো. জামাল হোসেন, তার পিতা মোহাম্মদ আলী এবং আজিজুল ইসলামসহ কয়েকজন দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম মুন্নার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মুন্না রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে দেশীয় অস্ত্র ও লোহার পাইপ দিয়ে আরও বেধড়ক মারপিট করে এবং মুন্নার কাছে থাকা ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। মুন্নার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে’।

এ ঘটনার পরে আইনী সহায়তা পেতে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে’। এদিকে হামলা ও টাকা ছিনতাই মামলার আসামী মো. জামাল হোসেনের বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ‘জামাল হোসেন এলাকায় সন্ত্রাসী রাজ্য কায়েমসহ মাদক কারবারে সম্পৃক্ত। বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে ওঠা-বসার সুবাদে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না’।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে মারামারি, চাঁদাবাজি, জমি জবর-দখল, সরকারি কলেজের পুকুর থেকে জোর পূর্বক মাছ লুটসহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে’। এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও আসামী মো. জামাল হোসেন পলাতক থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *