সাকিবরা কি আইপিএলে খেলার সুযোগ হারাচ্ছেন?

সাকিবরা কি আইপিএলে খেলার সুযোগ হারাচ্ছেন?

খেলা স্পেশাল

মার্চ ২৬, ২০২৩ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।

এ ব্যাপারে প্রতিবেদন করেছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। তারা লিখেছে, ক্রিকেট খেলুরে কোনো দেশের বোর্ড যদি আইপিএল খেলার জন্য ক্রিকেটারদের না ছাড়ে বা দেরি করে ছাড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে সেই দেশের ক্রিকেটারদের হয়তো আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যতি এভাবে অসহযোগিতা করে তাহলে ভবিষ্যতে সাকিবরা আইপিএলে হয়তো কোনও দলই পাবেন না। আইপিএল নিলামে টাইগারদের অগ্রাহ্য করা হবে।

আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, আমাদের অভিযোগ করার কোনও জায়গা নেই। কারণ ক্রিকেটারদের ব্যাপারে বিসিসিআই বাকি বোর্ডগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে। কিন্তু পরের দিকে নির্দিষ্ট কিছু দেশের ক্রিকেটার নেওয়া ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সতর্ক হয়ে যাবে।

তিন আরও বলেন, এর আগে তাসকিন আহমেদও আইপিএলে দল পেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে এনওসি পায়নি। এখন সাকিবদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হচ্ছে। বিসিবি যদি ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলতে দিতেই না চায়,তাহলে নিলামে নথিভুক্ত করারই দরকার নেই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারণা যে বদলাবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।

শুধু বাংলাদেশ নয়, একই জিনিস দেখা যেতে পারে শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও। এবারের আইপিএলে শ্রীলংকার চার ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় প্রথম সপ্তাহে তারা খেলতে পারবেন না। অতীতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও ক্রিকেটারদের এনওসি দেয়নি।

শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন,আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের কবে ছাড়া হবে, এই প্রশ্ন আমাকে বার বার করা হচ্ছে। আমার উত্তর একটাই। আইপিএলের নিলামের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কবে থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে। আমি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার ভিত্তিতেই নিলামে আমাদের ক্রিকেটারদের নাম রাখা হয়েছিল। এখন অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।

বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন,বাংলাদেশের খেলা চলাকালীন সাকিব, লিটন, মোস্তাফিজুর রহমানদের জন্য কিছু করা কঠিন। আমার কাছে কোনও বিকল্প নেই। অনুমতিপত্র দেওয়া হবে, এমন কিছু কখনও বলা হয়নি। এর পরেও এত সংশয়ের কী আছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *