‘সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় দেশে উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে’

‘সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় দেশে উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে’

জাতীয় স্লাইড

এপ্রিল ৮, ২০২৩ ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত তিন মেয়াদে (২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ধারাবাহিক অগ্রগতি, সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রস্তাব উত্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সুযোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। সামগ্রিকভাবে জনগণের জীবন মানের উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের এক বিস্ময়। জাতীয় সংসদ ৫০ বছরের যাত্রায় অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে, বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির মধ্যেও গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করছে। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছরের শুভ মুহূর্তে সংসদ এ অভিমত পোষণ যে- সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়ন ঘটবে। গণতন্ত্র সুদৃঢ় হবে, শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সবার জন্য সমতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন। দেশ গড়ার জন্য জাতির পিতা মাত্র তিন বছর সাত মাস তিনদিন সময় পেয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সংবিধানের চারটি মূলনীতি গ্রহণ করেছেন, সেগুলো হলো জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই নীতির ভিত্তিতে তিনি সংবিধানে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ থেকে শুরু করে সবার মৌলিক অধিকারের কথা বলেছেন।

সরকার প্রধান বলেন, স্বল্প মেয়াদের শাসনামলে ৪৬২টি আইন, অধ্যাদেশ ও আদেশ জারি করা ছিল বঙ্গবন্ধুর এক অসাধারণ কাজ। একদিকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছেন, অন্যদিকে গণতন্ত্রকে সুসংহত করে এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় সদস্যপদ লাভের পাশাপাশি ১২৩টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এছাড়া জাতিসংঘও বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়েছিল। এ অগ্রযাত্রা দেশের জন্য সহজ ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে অনেক বাধা অতিক্রম করে সেগুলো অর্জন করতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো। সদিচ্ছা থাকলে কীভাবে একটি দেশের পুনর্বাসন, পুনর্গঠন ও উন্নয়ন করা যায়, সেই বিরল উদাহরণ রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করছি। সে কারণেই ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে বাধা আসে।সেগুলো অতিক্রম করে আমরা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। দারিদ্র্য বিমোচন, দুর্যোগ মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *