ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ
ক্লাব ফুটবলের চলতি মৌসুমে বেঞ্চে থাকা ফুটবলারদের মধ্যে পরিচিত মুখ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো পর্তুগাল জাতীয় দলেও একই অবস্থা ছিল তার।
সদ্য সমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে শুরুর একাদশ থেকে বাদ পড়েন রোনালদো। এ নিয়ে অনেক সমালোচিত হন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তবে রোনালদোর বাদ পড়ার পেছনে অন্য কারণ খুঁজে বের করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান।
তার মতে, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বলি হয়েছেন রোনালদো। পূর্ব এরজুরুম প্রদেশের এক ইয়ুথ ইভেন্টে এরদোয়ান বলেন, ‘তারা (পর্তুগাল) রোনালদোকে নষ্ট করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা তার ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।’
কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হারে পর্তুগাল। সেই ম্যাচের ৫১ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামানো হয় রোনালদোকে। কিন্তু পর্তুগালকে আর ম্যাচে ফেরাতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। তাই নিজের শেষ বিশ্বকাপে কেঁদেই বিদায় নিতে হয় তাকে।
এরদোয়ান বলেন, ‘ম্যাচের ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদোর মতো ফুটবলারকে মাঠে নামালে, সেই ফুটবলারের মনোজগত নষ্ট হয়ে যায় এবং শক্তিও থাকে না। রোনালদো এমন একজন যে কি না ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।’
যদিও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কিছুই বলেননি রোনালদো। তার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি গল্প নেট দুনিয়ায় প্রচলিত। ২০১৯ সালে গোল্ডেন বুট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ রোনালদো ফিলিস্তিনিদের দান করেছেন বলে গুজব উঠে।
তবে তা অস্বীকার করে রোনালদোর প্রতিনিধিত্ব করা এক স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। ‘ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি’- লেখা একটি কাগজ হাতে রোনালদোর ছবিও বেশ ভাইরাল হয় অনলাইনে। তবে তা বিকৃত করে বানানো ছবি।
মূলত ২০১১ সালে স্পেনে হওয়া ভূমিকম্পে আক্রান্ত লোকেদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছিলেন রোনালদো। ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুই দেশেরই শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা গেছে এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে।