জানুয়ারি ৬, ২০২৩ ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ
হিম কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। গত কয়েকদিনে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি কাঁপছে শহরও। দেশের উত্তরাঞ্চলে তো রীতিমতো হাড় কাঁপানো শীত।
এমন পরিস্থিতিতে গরম হয়ে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার। বিপণি বিতানগুলো এখন শীতবস্ত্রের দখলে, ক্রেতাও প্রচুর। চাহিদা বাড়ায় পাল্লা দিয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারাও। যেন শীতের তীব্রতায় গরম হয়ে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার।
উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীর পাইকারি মার্কেটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে গরম পোশাক।
রাজধানীর নিউমার্কেট, গুলিস্তান, সদরঘাট, পল্টন, বঙ্গবাজার ও ফুলবাড়িয়া মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব দোকানে শীতের পোশাকের ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দমতো কিনছেন বিভিন্ন রকমের গরম পোশাক।
ব্যবসায়ীরা জানান, বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের কাপড়। মান ও আকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে পোশাক। কম্বলের দোকানগুলোতেও ভিড় চোখে পড়ার মতো। কাপড়ের মান ও আকারভেদে নানা দামে বিক্রি হচ্ছে কম্বল। পাইকারি দামে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পঞ্চগড় থেকে পাইকারি দামে শীতের কাপড় কিনতে আসা সেলিম বিশ্বাস জানান, ঢাকায় সপ্তমবার কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। ছোট কাপড়ে আগের চেয়ে ১৫-২০ টাকা, বড় ও মোটা কাপড়ে ১০০-১২০ টাকা দাম বেড়েছে।
দিনাজপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক জানান, এবার তুলনামূলক দাম বেশি। মূল্যস্ফীতির জন্যই এমনটা হচ্ছে।
সদরঘাট পাইকারি মার্কেটের মায়ের দোয়া গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলিম জানান, মোটা ও গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি। বছরজুড়ে দ্রব্যমূল্য, সুতা, তেলসহ সব জিনিসের দাম বাড়তি ছিল। ফলে কাপড়ের দাম স্বাভাবিকভাবে বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী নাইমুল হক জানান, এবার তুলনামূলক ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এবার গ্রামাঞ্চলে অনেকটা আগেভাগেই শীত জেকে বসেছে। শহরেও শুরু হয়ে গেছে শীতের প্রকোপ। ফলে ব্যবসাও জমে উঠেছে।
আবার অনেকে শীতবস্ত্র কিনছেন অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য। নড়াইলের একটি সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিতরণের জন্য শীতবস্ত্র কিনতে সদরঘাট এসেছেন আব্দুল কাদের। তিনি জানান, শীতে অনেক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের জন্য শীতবস্ত্র কেনা কষ্টসাধ্য। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে শীতবস্ত্র কিনতে এসেছি।