রামুর ঘিলাতলি ইসলামি যুব সংস্থার কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা

রামুর ঘিলাতলি ইসলামি যুব সংস্থার কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা

দেশজুড়ে

আগস্ট ৮, ২০২৩ ৫:২০ অপরাহ্ণ

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার।।

রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ঘিলাতলি এলাকায় একটি সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় ভেঙ্গে দিয়েছে স্হানীয় একজন বখাটের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র।এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ঘিলাতলি গ্রামে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,২০১৭ সালে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘিলাতলি এলাকার যুবকরা সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও আত্ন সমাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এলাকার সার্বিক কল্যানের লক্ষ্যে একটি সামাজিক সংগঠন ” ঘিলাতলি ইসলামি যুব সংস্হা” প্রতিষ্ঠা করেন।প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবতার কল্যানে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে সুনাম কুড়িয়েছেন এলাকায়। জনকল্যানে নিয়োজিত সামাজিক সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়টি জবরদখলে নিতে তৎপর হয়ে উঠেন ঘিলাতলি গ্রামের জনৈক কবির আহমদ সওদাগরের পুত্র রাসেল।

ঘিলাতলি ইসলামি যুব সংস্হার সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ মাহিন জানান,গত ৬ আগস্ট ভোর রাতে রাসেল তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ঘিলাতলি ইসলামি যুব সংস্হার কার্যালয় জবরদখলের উদ্দেশ্যে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।এতে কার্যালয়টির অংশ বিশেষ ভাঙ্গার পাশাপাশি সংস্থার চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুঠপাট হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রাসেল এলাকার একজন নব্য সন্ত্রাসী গ্রুপের নিয়ন্ত্রক।উঠতি বয়সের যুবকদের একটি চক্র গঠন করে ঘিলাতলি, মাঝির কাটা, বেলতলি,মগবিল,শিবা তলি সহ আশপাশের গ্রামে চুরি-ছিনতাই,চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে নির্বিঘ্নে। আত্নীয় স্বজন প্রভাবশালী হওয়ায় এবং রাসেল ও তার গ্রুপের নির্যাতনের ভয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খোলার সাহস পায় না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতিক সময়ে এলাকায়,ব্যাপক হারে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘিলাতলি ইসলামি যুব সংস্হার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সংস্হার পক্ষ থেকে ৮ আগস্ট রামু থানায় অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত রাসেলের বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ইন্সপেক্টর) মাসুদ রানা জানান,লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *