রামুর গর্জনিয়ায় মামলাবাজ জোলেখা বেগমের মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রামুর গর্জনিয়ায় মামলাবাজ জোলেখা বেগমের মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দেশজুড়ে

জুলাই ৪, ২০২৩ ৮:১৫ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ কে ফাঁসাতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা মামলায় সমাজপতি, ব্যাংকার,রাজনৈতিক নেতা সহ ১৫ গন্যমান্য ব্যক্তি কে চাঁদাবাজির জড়ানোয় সুষ্ঠ তদন্ত ও মামলাবাজ কথিত নারীর শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ‘চাঁদাবাজি’র মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকার মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ গণ্যমান্য ১৫ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন সর্বস্তরের এলাকাবাসি। ওই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বাদীর সাথে আসামিদের কারও কোন ঘটনা হয়েছে কিংবা দেখা হয়েছে এমন প্রমাণ যদি কেউ দিতে পারে আসামিরা সবাই স্বেচ্ছাকারাবরণ করতে রাজি আছেন।

গর্জনিয়ার পশ্চিম থিমছড়ি এলাকার জুলেখা খানম নামের ‘মামলাবাজ’ এক মহিলা এই মামলাটি করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই মহিলা অতীতেও বহু মানুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে সুবিধা আদায় করেছেন।

শুক্রবার (৩০ জুন) জুমার নামাজের পর থিমছড়ি বাজারে এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে সর্বস্তরের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ওই ‘সাজানো’ মামলার আসামি থিমছড়ি মসজিদ কমিটির সভাপতি ব্যাংকার নুরুল ইসলাম ও এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি শফিউল আলম। এছাড়াও লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন থিমছড়ি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ জাকারিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা ঘটনা দিন ২৭ মে ওই এলাকায় ‘চাঁদাবাজি’ ও ‘অস্ত্রের মহড়া’র কোন ঘটনাই ঘটেনি। যেখানে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে সেখান থেকে বাজার দেখা যায়। বাজারের কোন লোকই এ ধরণের কোন চোখে দেখেননি কিংবা কারও কাছে শুনেননি। তাছাড়াও মামলায় ৫ জন স্বাক্ষী দেয়া হয়েছে, যারা সকলেই বাদী জুলেখা খানমের স্বামী, আপন ভাই ও রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই মামলার বিবাদীগণ তাদের পুর্বপুরুষের সম্পত্তি ফিরে পেতে কক্সবাজার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। ওই মামলার ২৯ জন বিবাদীর মধ্যে জুলেখা খানম ২১ নম্বর বিবাদী। সেই মামলায় কোন ধরণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পেরে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছে।

তাদের মতে, জুলেখা খানম তার ‘চাঁদাবাজি’ মামলায় যে জমির কথা উল্লেখ করেছেন সেই জমির সাথে বিবাদীদের জমির কোন সম্পর্ক নেই। বরং ভিন্ন খতিয়ান, ভিন্ন দাগ। বাদী আর্জিতে বলেছেন- ৩২২৫ সৃজিত বিএস খতিয়ানের ১৭২৮, ১৭২৯ ও ১৭২৩ দাগের দশমিক ২০ একর জমি। অথচ বিবাদীদের সাথে তার ও তাদের বিরোধীয় জমি হচ্ছে বিএস ১৬৮৬ ও ১৬৮৭ খতিয়ানের ৪ দশমিক ১৯ একর জমি।

ইতোপূর্বে জুলেখা খানমের আপন দুই ভাই জিয়াউল করিম ও জসিম উদ্দিন ১৬৮৬ ও ১৬৮৭ খতিয়ানের বিরোধী জমি নিয়ে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে রামু সহকারী জজ আদালতে চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *